ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি
Published: 16th, January 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাওয়ার সময় শিশু একাডেমির সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা ও নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার প্রক্টরের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’র হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সংগঠন নয় এবং এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।
হামলায় জড়িত ওই সংগঠনের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহির্ভূত হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে,
ইতোমধ্যে হামলাকারী দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাওয়ার সময় শিশু একাডেমির সামনে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর তীব্র নিন্দা জানায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা ও নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানায়।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার হামলায় আহত ঢাবি শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ কর ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।