ডুয়েটের জব ফেয়ারে চাকরিপ্রত্যাশীদের ভিড়
Published: 16th, January 2025 GMT
গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) দিনব্যাপী ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো অ্যান্ড জব ফেয়ার’ এর আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকেই মেলায় চাকরি প্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এ মেলার উদ্বোধন করেন ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। উদ্বোধনের পর উপাচার্য মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, “এ অনুষ্ঠান শুধু একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো ও জব ফেয়ার নয়; এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ের ভবিষ্যত নির্মাণ এবং শিল্পের বর্তমান চাহিদা পূরণের বিভিন্ন দিক উন্মোচন করবে। এ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো ও জব ফেয়ার এমন একটি সুযোগ, যেখানে মেধাবী মস্তিষ্কগুলো তাদের উচ্চাশা নিয়ে একত্রিত হতে পারে, একাডেমিক শিক্ষা এবং কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী বাস্তব দক্ষতাগুলো একত্রিত হতে পারে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার চমৎকার দিকগুলোতে সফলতার পথ তৈরি হতে পারে।”
তিনি বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার থেকে শুরু করে দক্ষ পেশাদারের প্রয়োজন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। আমি আশা করি, এ আয়োজন থেকে নতুন নতুন ভাবনা ও উদ্ভাবনের জন্ম হবে; যা আমাদের শিল্পখাত এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে।”
আয়োজন কমিটি থেকে জানানো হয়েছে, মেলায় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাণ গ্রুপ, ক্রাউন সিমেন্ট, শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, আরএফএল গ্রুপ, এনার্জিপ্যাক, বারাকা গ্রুপ, রানার গ্রুপ, বাংলা ক্যাট, বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডসহ প্রায় অর্ধশত শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
এখানে চাকরি প্রার্থীরা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার মাধ্যমে আবেদন করবেন। পরে কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে তথ্য জানাবে।
ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
করিডর নিয়ে যা বলছে, তার প্রতিটি কথার জবাব দিতে হবে: আমীর খসরু
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে যে করিডরের কথা বলা হচ্ছে, তা বুঝে বলা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, যদি বুঝে বলে থাকে, তাহলে প্রত্যেকটা কথার জবাব দিতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, যদি দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হতো, জনগণের মতামত বিবেচনা করা হতো। অথচ এখন এমন সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে, কাদের সঙ্গে বসে নিচ্ছে, তা জাতি জানে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আমীর খসরু নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা দেখছেন একটা সুবিধাবাদী শক্তি সৃষ্টি হয়েছে। এদের কোনো অবদান নেই। তাদের বেশির ভাগকে রাস্তায় দেখিনি। এখন এরা মজা মারছে। ক্ষমতার মজা মারছে। এটা কি ছাড়া যায়। এখন তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। নির্বাচনে গেলে তো জনগণের নির্বাচিত সরকার হবে। তাদের ওই মজা তখন আর থাকবে না।’
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একেক দিন একেক দিন একেক কথা বলে। এটা না হলে নির্বাচন হবে না, ওটা না হলে নির্বাচন হবে না। প্রতিনিয়ত তারা একেকটা বয়ান শুরু করেছে। কারণ, তারা তো আনন্দে আছে। এখন এই বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে তারা লাভবান আছে। কাদের কথা বলছি বোঝানোর দরকার আছে? বুঝছেন তো কাদের কথা। সুতরাং এটা বেশি দিন চলতে গেলে জনগণের কাছে জবাবদিহি হতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘যারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে ছিল না, এখন তারাই বলছে, নির্বাচন না হলেই ভালো। তারা একধরনের সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু জনগণ তাদের এ সুযোগ বেশি দিন দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ছাড়া কাউকে ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা দেবে না।’’
বর্তমান সরকারের সময় যেভাবে শ্রমিকস্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রোডম্যাপে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ।