ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তাঁর মতে, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় খুলতে সহায়ক হবে। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউআইওএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

ডব্লিউআইওএনের সাংবাদিক ধিরাজ প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ছে চীনের। এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

জবাবে এরিক গারসেটি বলেন, আমরা উভয়ই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মৌলিক বিষয়গুলোর কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথাও বলেছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, বাংলাদেশ কিংবা যে কোনো দেশেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন চালানো যাবে না। 

বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা সুযোগ এসেছে। আমরা উভয় দেশই চাই, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রতিষ্ঠা হোক। আমরা চাই, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তাদের অতীত পেছনে ফেলে ভবিষ্যতের জন্য নতুন অধ্যায় শুরু করবে। অতীত সম্পর্ক নিয়ে ভাবার সময় এটি নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একসঙ্গে কী করতে পারে, তা নিয়ে ভাবতে হবে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি