পারিশ্রমিক বিতর্ক পেছনে ফেলে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়
Published: 17th, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম পর্বে পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্ক ও অনুশীলন বয়কটের খবরকে ছাপিয়ে নিজেদের মাঠের লড়াইয়ে জয়ে ফিরল দুর্বার রাজশাহী। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সিলেটকে ৬৫ রানে হারিয়ে বিপিএলে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে দলটি। রাজশাহী দলের এই সাফল্যের পেছনে অবদান রেখেছেন বিজয়, তাসকিন এবং সানজামুলরা। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী তুলে নেয় ১৮৪ রানের সংগ্রহ। জবাবে সিলেট ১৭ ওভার তিন বল খেলে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানের ওপেনিং জুটি পায় রাজশাহী। এর মধ্যে ১৯ রান করে ফিরে যান হারিস রউফ। পরে জিসান আলম ২০ রান করে ফিরে যান। তিনে নেমে বিজয় খেলেন ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংস। তিনটি চার ও দুটি ছক্কার শট খেলেন রাজশাহীর অধিনায়ক।
দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন জিম্বাবুয়ের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল। তিনি ৪টি ছক্কা ও একটি চারের শট খেলেন। এর মধ্যে ছক্কার হ্যাটট্রিক করেন সিলেটের অধিনায়ক আরিফুলের বলে। ইয়াসির রাব্বি ১০ বলে ১৯ রান যোগ করেন। স্লগে বাজে ব্যাটিং করেছেন আকবর আলী। তিনি ১৫ বলে মাত্র ১৪ রান করতে পারেন।
সিলেটের হয়ে বাঁ-হাতি মিডিয়াম পেসার রুয়েল মিয়া ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র ২ রান দেন তিনি। ডানহাতি স্পিনার নাহিদুল ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। বাঁ-হাতি তরুণ স্পিনার নাহিদুজ্জামান ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিলেট শুরু থেকেই হোঁচট খায়। প্রথম ওভারেই পল স্টার্লিং (২) আউট হন। দ্বিতীয় ওভারে রনি তালুকদারকেও (০) হারায় দল। এরপর জাকির হাসান এবং জর্জি মানজির ছোট জুটি দলের স্কোর একটু এগিয়ে নেয়। তবে ২৮ বলে ৩৯ রান করা জাকির এবং ২২ বলে ২০ রান করা মানজির বিদায়ের পর সিলেটের ইনিংস ধসে পড়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানেই ৮ উইকেট হারায় দলটি।
শেষ দিকে জাকের আলী কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ২০ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তবে সঙ্গীর অভাবে লড়াই করতে পারেননি। রিস টপলির বোল্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে ১১৯ রানেই গুটিয়ে যায় সিলেট। এতে ৬৫ রানের জয় পায় বিজয়ের দল।
রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন সানজামুল ইসলাম। এ ছাড়াও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, তাসকিন আহমেদ, আফতাব ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। আর একটি মাত্র শিকার করেন মার্ক দয়াল। পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনার মাঝে রাজশাহীর এমন জয় দলটির আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে এ ধরনের পারফরম্যান্স ধরে রাখাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। এ পোস্টে অপু জানান, আর কোনো ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতায়’ নেই। বরং নিজের সন্তান, কাজ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের পথেই হাঁটতে চান এই অভিনেত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের কাজ ও ব্যক্তিজীবনের কিছু মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অপু বিশ্বাস। গতকাল (১৫ জুন) একটি স্ট্যাটাসের সঙ্গে সাবেক স্বামী শাকিব খান ও পুত্র আব্রাম খান জয়ের একটি ছবিও শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “সন্তানের সুন্দর শৈশবের জন্য বাবা-মা হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এটা নিয়ে কেউ যদি অস্বস্তি বোধ করে, সেটা আমার দায় নয়।”
অন্য সাধারণ নারীর মতোই অপুর জীবন। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস লেখেন, “আমি একজন মা, একজন অভিনেত্রী, একজন উদ্যোক্তা। ক্যামেরার বাইরে আমার জীবনটা অন্য সব নারীর মতোই—হাজারো কাজ, পরিকল্পনা আর স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা। কাউকে কিছু প্রমাণ করার ইচ্ছা নেই। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় দর্শকদের সামনে কেটেছে। এখানে লুকোচুরি বা নাটকের কিছু নেই।”
অপু বিশ্বাসের দাবি, অসুস্থ কোনো প্রতিযোগিতায় নেই। তার ভাষায়, “অনেকদিন ধরেই দেখছি, আমার কোনো সাধারণ পারিবারিক পোস্টের পরেই কাউন্টার পোস্ট বা প্রচেষ্টা দেখা যায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই।”
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, “সম্মান অর্জন করতে হয় নিজের আচরণ দিয়ে, অন্যকে ছোট করে নয়। আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি। নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন—আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি আপনাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। আর নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে কারো সঙ্গে পা মেলাতে রাজি নই।”
অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর পাল্টাপাল্টি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। দুই নায়িকাই চিত্রনায়ক শাকিব খানের সন্তানদের মা হওয়ায় ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে একে অপরকে লক্ষ্য করে মন্তব্য করছেন বলে অনেকের ধারণা।
অপু বিশ্বাস এবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। তার এই বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে এটি একটি পরিণত ও মর্যাদাপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত