ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গোলমেশিন আর্লিং হল্যান্ড ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে নতুন করে এক দশকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। নরওয়ের এই তারকা ২০৩৪ সাল পর্যন্ত থাকবেন ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। ২০২২ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সিটিজেনদের দলে যোগ দেওয়া হল্যান্ড ইতিমধ্যে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছেন।

প্রথমে ২০২২ সালের মে মাসে ৫ বছরের চুক্তিতে ম্যানসিটিতে আসেন তিনি। আড়াই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১১ গোল করে প্রমাণ করেছেন নিজের দক্ষতা। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সেই ম্যানসিটি জিতেছে টানা লিগ শিরোপা এবং ক্লাবের প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ঐতিহাসিক ট্রেবল।

নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের পর হল্যান্ড বলেন, ‘ম্যানসিটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই ক্লাবের অংশ হয়ে আরও অনেক সময় কাটানোর অপেক্ষায় আছি। পেপ গার্দিওলা, কোচিং স্টাফ, আমার সতীর্থ এবং ক্লাবের সবাইকে ধন্যবাদ, যারা আমাকে দারুণভাবে সমর্থন করেছেন। তারা ম্যানসিটিকে এমন একটি বিশেষ জায়গা বানিয়েছেন, যেখানে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। এখন আমি পুরোপুরি সিটির, যাই ঘটুক না কেনো।’

২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যানসিটির হয়ে মাত্র ৩৬ ম্যাচে রেকর্ড ৩৫ গোল করেন হল্যান্ড । পুরো মৌসুমে তার গোল সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২, যা প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখে।  

হল্যান্ডের নতুন চুক্তি নিয়ে ম্যানসিটির ডিরেক্টর বলেছেন, ‘ক্লাবের সবাই অত্যন্ত আনন্দিত যে হালান্ড এতদিনের জন্য আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এটি তার প্রতি আমাদের গভীর আস্থা এবং ক্লাবের প্রতি তার ভালোবাসার প্রতিফলন। আমরা নিশ্চিত, তিনি ভবিষ্যতেও অসাধারণ কিছু করে দেখাবেন।’

হল্যান্ডের নতুন চুক্তিটি ক্রীড়া জগতে অন্যতম লাভজনক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২৪ বছর বয়সী হল্যান্ড তার আগের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে পৌনে চার লাখ পাউন্ড বেতন পেতেন। তবে একাধিক বড় ধরনের প্রায় নিশ্চিত বোনাসের কারণে তার সাপ্তাহিক আয় সাড়ে আট লাখ পাউন্ডের বেশি পরিমাণে পৌঁছে যায়।

পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত সিটিতে থাকার কথা ছিল হল্যান্ডের। নতুন এই চুক্তি যখন শেষ হবে নরওয়েজিয়ান এই ফরোয়ার্ডের বয়স হবে ৩৪ বছর। তবে বেশ কিছু দিন থেকেই গুঞ্জন ছিল তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল বর্তমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল য ন ড

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি

দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?

আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।

২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।

নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।

৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্য মনোনয়নে বিএসইসির কমিটি
  • বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি