চীনে টানা ৩ বছর ধরে হ্রাস পাচ্ছে জনসংখ্যা
Published: 17th, January 2025 GMT
চীনে গত তিন বছর ধরে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এক সময় ‘বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ’ নামে পরিচিত ছিল চীন। তবেক ২০২২ সাল থেকে দেশটিতে জনসংখ্যা হ্রাসের ধারা শুরু হয়।
চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ দিকে চীনে জনসংখ্যা ছিল ১৪০ কোটি ৮০ লাখ। ২০২৩ সালের একই সময় দেশটির মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪১ কোটি। এক বছরের ব্যবধানে দেশটির জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখ। এই হ্রাসের হার অবশ্য ২০২২ সালের তুলনায় কম। ওই বছর চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮০ সালে চীনে ‘এক শিশুনীতি’ প্রণয়ন করেছিল ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার। তবে ২০০০ সালের পর থেকে দেশটিতে জন্মহার কমতে থাকায় ২০১৬ সালে এ নীতি বাতিল করে বেইজিং। দেশটিতে ২০২১ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘তিন সন্তান নীতি’।
তবে এই নীতি তেমন ফলপ্রসূ হয়নি, বরং নিম্ন জন্মহার অব্যাহত থাকায় ২০২২ সাল থেকে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করে। এর পাশাপাশি বাড়তে থাকে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আকার। ২০২৩ সালের শেষ দিকে যেখানে চীনে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের সংখ্যা ছিল ২৯ কোটি ৭০ লাখ, সেখানে ২০২৪ সালের শেষ দিকে এই বয়সীদের মোট সংখ্যা ৩১ কোটি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ফসলি জমি ও খাল থেকে দফায় দফায় মাটি কেটে স্থানীয় ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভেকু (এক্সক্যাভেটর) দিয়ে মাটি খননে খালের গতিপথ বদলে গেছে। এ চিত্র ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আধার মার টেক কালিপুর এলাকার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী-নালা, খাল-বিল থেকে সরকারি অনুমতি ছাড়া মাটি কাটায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইটভাটা মালিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। তারা ভেকু দিয়ে দফায় দফায় গভীর করে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া অর্থের বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের ফসলি জমি থেকেও মাটি কেটে গভীর খাদে পরিণত করা হচ্ছে।
কালিপুর এলাকায় দেখা যায়, ঘাগড়া খালের পাড়ে কৃষক রফিকের এক কানি জমি এবং খালের আরও দুই কানি জমির মাটি কাটা হয়েছে। এতে খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, পাশের কেবিএম-২ ইটভাটার মালিক মো. মহসিন, মো. বখতিয়ার ও এখতিয়ারের লোকজন অপরিকল্পিতভাবে খালের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর পশ্চিম বিলে বিবিসি নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। এর পাশের দুটি প্লট থেকে ১০ কানি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ রফিক বলেন, ঘাগড়া খালের পাড়ে সড়কের পাড়সহ তাঁর এক কানি কৃষি জমি থেকে ২০২২ সালে ও চলতি বছর গভীর করে মাটি কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে ঘাগড়া খালের গতিপথ তাঁর জমির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সালে অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দেন। মাটি ব্যবসায়ীরা তা মানেননি। তাই এ বছর থানায় অভিযোগ দেন। থানায় বৈঠক হলেও সুবিচার পাননি। উল্টো তাঁকে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।
আমির হামজা বলেন, তিনি এবার দেড় কানি জায়গায় ধান আবাদ করেন। ধান কেটে নোওয়ার আগে মাটি ব্যবসায়ীরা অন্তত এক কানি জমির মাটি জোর করে কেটে নিয়ে বিবিসি-২ এবং কেবিএম ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করেছে।
কেবিএম-২ ইটভাটার স্বত্বাধিকারী মো. বখতিয়ার বলেন, জমির মালিকের কাছ থেকে মাটি কিনে তারা ইটভাটায় ব্যবহার করছেন। কারও জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়া হয়নি।
ইউএনও মো. কামরুল হাসানের দাবি, অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দোষীদের জরিমানা করা হচ্ছে।