নাটোর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য থানায় আসা এক ব্যক্তি এই এসআইয়ের হাতে অর্থ প্রদান করছেন। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। এরপর, এসআই আমিনুল ইসলামকে পদচ্যুত (ক্লোজড) করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাটোর সদর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান।

ভিডিওতে দেখা যায়, এসআই আমিনুল ইসলাম টাকা গ্রহণ করে ড্রয়ারে রেখে দেন। সেবা প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘৩০০ টাকা চা খেতে দিয়েছি’। 

এছাড়াও তিনি জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য এক হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন।

মামুন হোসেন নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, তিনি তার এক পরিচিত একজনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিতে গেলে এই এসআই তার কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। তিনি দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু এসআই তাকে পুনরায় ফোন করে টাকা দাবি করেন।

এ বিষয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, “এ ঘটনা পুলিশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এসআই আমিনুল ইসলামকে সদর থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত এসআই আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢাকা/আরিফুল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর থ ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩

যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।

তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন।

তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩