ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে একটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলা আইনজীবী সমিতির এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমিতি ভবনে ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে মোট ৩৩৬ জন ভোটারের মধ্যে ৩১৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। 

সন্ধ্যায় ভোট গণনা শুরু হয় এবং রাত সাড়ে ৯টায় নির্বাচন কমিশনার সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো.

টিপু সোলায়মান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফলে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ থেকে সভাপতি পদে মো. নুরুল আমিন খাঁন ২০০ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ মীর মোশারফ হোসেন মানিক ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জুলফিকার বুকুল ১১০ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাহ মোহাম্মাদ কায়কোবাদ ১৩৯ ভোট পেয়েছেন।

সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদ থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রেজাউল করিম তুহিন ১৮৬ ভোট ও অডিটর পদে আব্দুল কুদ্দুস ১৮৪ ভোট পেয়েছেন।

এ পরিষদ থেকে সদস্য পদে নুরুল আবছার ২৫৬ ভোট, মোহাম্মদ খুরশিদ আলম মাহাদী ২৫৪ ভোট, ওছমান গনি মিরন ২৪৬ ভোট, হুমায়ূন কামাল ২৩৪ ভোট, আহমেদ উল্ল্যাহ অনিক ২৩১ ভোট এবং মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. আলা উদ্দিন ভূঁঞা ১৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

জয়ের পর নবনির্বাচিত সভাপতি মো. নুরুল আমিন খাঁন বলেন, “এ জয়ে আমরা আনন্দিত। আগামীর পথচলায় সকলের সঙ্গে আলোচনা করে আইনজীবীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে যাব।”

এবারের নির্বাচনে ১১ পদে ১৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারমধ্যে ছয়টি পদে প্রার্থী হন স্বতন্ত্ররা। নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে মো. সফিউল আলম ও রহিমা খাতুন হেলপী, অর্থ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মনসুর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা কোনো প্যানেল ঘোষণা না করলেও বিএনপি-জামায়াত সমমনা আইনজীবী পরিষদ প্যানেল ঘোষণা করে নির্বাচনে অংশ নেন। 

প্রসঙ্গত, গতবছর ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১টি পদে জয়লাভ করেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ চারটি পদে জয়ী হয়েছিল।

ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বতন ত র সমর থ ত আইনজ ব হয় ছ ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময়কে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
  • বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
  • জামিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে হাতাহাতি, স্টেনোগ্রাফার আহত
  • অস্ত্র ও মাদকসহ সাবেক এমপির ছেলে আটক
  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর