নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় এই বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশে মর্যাদা পেয়েছিল। 

আজকে আমাদের সেই আদর্শের জনক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন আমরা ওনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমাদের নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন। উনি কিন্তু নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে কিন্তু যুদ্ধের ঘোষণা দেয় নাই। 

আরেকজন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর সাহেব উনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় অতিথিতা গ্রহণ করে পাকিস্তানের চলে গিয়েছিলেন। আমাদের নেতা পরিবারকে ফেলে রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই দলের সেই নেতার আদর্শিক কর্মী। 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও বিএনপি'র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণে বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

রবিবার ( ১৯ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, আমরা সাড়ে ১৭ টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। ওয়ান ইলেভেনের দুই বছর আর আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫টি বছর। আমরা কিন্তু বিজয়ের পরে আজকে এই দেশে অবস্থান করছি। আর তারা কিন্তু ঠিকই এদেশ থেকে পালিয়ে গেছে।

আমরা কিন্তু এই সাড়ে ১৭টি বছর একদিনের জন্য দেশ ছেড়ে কোথাও পালিয়ে যায়নি। তাদের অপকর্মের কারণে কিন্তু তারা পালিয়ে গেছে। আমরা আমাদের নেতার আদর্শকে ধারণ করে রাজপথে ছিলাম। আরে ফ্যাসিবাদী সরকার হাজারো চেষ্টার পরও কিন্তু এই বিএনপি ধ্বংস করতে পারে নাই। বিএনপি আগের তুলনায় আরো শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

আমাদের নেতা এমন সংগত ছিলেন তিনি ওয়াইসির ইরাক ও ইরানের যুদ্ধ বন্ধ করেছিলেন। শুধু বাংলাদেশে না সারা পৃথিবীতে উনি বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। আমরা সেই নেতার আদর্শকেই বুকে ধারণ করি। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাতবাসী করেন।

আপনারা দোয়া করবেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার  সুস্থতার জন্য ও আমাদের নেতা তারেক রহমানের জন্য যেন তিনি তাড়াতাড়ি  আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহবুব উল্লাহ তপন, বরকত উল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়নাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বদল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র রহম ন ব এনপ র ইসল ম আদর শ

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে
  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার