শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ঘরিষার ইউনিয়নের চর লাউলানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি বিস্ফোরিত ও ১টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে।

মতিউর রহমান সাগর নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঘরিষার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচনের বার বার বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

মতিউর রহমান সাগর বলেন, রাত অনুমানিক ১১টার দিকে আমার বাড়ির ভেতরে ও বাহিরে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী প্রায় ৮/১০টি হাত বোমা নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। বোমার বিকট আওয়াজ ও বিস্ফোরণে আমি ঘর থেকে বের হলে তারা পালিয়ে যায়।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গতকাল ঘড়িষার ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা করা হয়। ওই কর্মীসভায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারমূলক বক্তব্য দেওয়া হয় এবং কিছুদিন আগে একদল সন্ত্রাসী  আমাকে মেরে চাকধ বাজারের জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যায়। এই ব্যাপারে নড়িয়া থানায় মামলা করেছি সবকিছু মিলিয়ে কে বা কারা করছে আসা করি পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। আর আজকের বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন ও প্রতিবাদ জানান।

এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, খবর শুনে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে অবিস্ফোরিত ১টি ককটেল ও বিস্ফোরিত কয়েকটি ককটেলের আলামত পাওয়া যায়। অভিযোগ দিলে মামলা হবে। পরে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র ককট ল উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী