সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত রোববার রাত থেকে সোমবার সারাদিন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষরে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা হলে এ বিরোধ দেখা দেয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন দশক উপজেলা বিএনপির কোনও কাউন্সিল হয়নি। এ সময়ে স্থানীয় নেতারা সমঝোতার মাধ্যমে দলের কমিটি গঠন করেছেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে কমিটি গঠনের পর রাজনীতি ত্যাগসহ অনেক নেতা মৃত্যুবরণ করলেও সে জায়গা পূরণ করা হয়নি। এমনকি স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রমও তেমন দৃশ্যমান ছিল না। সর্বশেষ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ ও সোলায়মান কবীর।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলিম বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনায় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। আগের কমিটিসহ ১৯ জানুয়ারি ঘোষিত কমিটিও বিলুপ্ত। নতুনভাবে ঘোষিত পৌর কমিটিও বিলুপ্তির তালিকায় রয়েছে। দ্রুত কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে তৃণমূল্যের সমর্থনের ভিত্তিতে নতুন ও যোগ্য নেতৃত্ব আসবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ কম ট ব এনপ র র কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল