কথাসাহিত্যিক ফয়জুল ইসলাম মারা গেছেন
Published: 21st, January 2025 GMT
‘খোয়াজ খিজিরের সিন্দুক’ ও ‘বখতিয়ার খানের সাইকেল’ খ্যাত কথাসাহিত্যিক ফয়জুল ইসলাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ক্যানসারের সার্জারির পর আইসিইউতে ছিলেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন লেখকের বোন ফারহানা নীলা।
কথাসাহিত্যিক ফয়জুল ইসলামের জন্ম ১৯৬৩ সালের ২৪ নভেম্বর, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন পাবনা জিলা স্কুল ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। এছাড়া উচ্চতর পর্যায়ে পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, উইলিয়ামস কলেজ ও সিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরো পড়ুন:
জাতীয় কবিতা পরিষদ জামালপুরে নতুন কমিটি
নোবেলজয়ী লেখক হান ক্যাং এর সাহিত্য নিয়ে কালির বৈঠক
তিনি দীর্ঘদিন বেসরকারি, সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন। সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ছিলেন। তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘নক্ষত্রের ঘোড়া’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। এর দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় আলোচিত গল্পগ্রন্থ ‘খোয়াজ খিজিরের সিন্দুক’, যা প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪২২ মনোনীত হয়।
এছাড়া তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘ঘুমতৃষ্ণা’, ‘নীলক্ষেত কেন যাই’, ‘জমিন’ ও ‘আয়না’। একটিমাত্র উপন্যাস লিখেছেন যার নাম ‘বয়েজ স্কুল ব্যান্ড’। পাশাপাশি তার গল্পসংগ্রহ ১ ও ২ প্রকাশ করেছে চৈতন্য।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে শনিবার মধ্যরাতে
তিন মাস দুই দিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ। শনিবার (২ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।
কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এবার নির্দিষ্ট সময়ে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বছর ২-৩ দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় চার মাস পর মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতো। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, প্রজনন এবং অবমুক্ত করা মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।
এদিকে, মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শুধু জেলে পাড়া নয়, কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিন। দীর্ঘ ৯২ দিনের কর্মহীন জীবনের অবসান ঘটাতে প্রহর গুনছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।
বিএফডিসি সূত্র বলছে, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৬ হাজার জেলে।
রাঙামাটির শহরের পুরান পাড়া জেলা পল্লীর বাসিন্দা নেপাল দাশ জানিয়েছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালে যে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তাতে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। দীর্ঘ তিন মাস পর মাছ ধরতে নামতে পারব, এতে খুশি আমরা।
নতুন পাড়ার জেলে অমর কান্তি দাশ বলেছেন, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে, পানিতে ঢেউ থাকায় শুরুতে বেশি মাছ পাওয়া যাবে না। পানি কিছু কমে আসলে ও স্থির হলে ভালো মাছ পাব, আশা করি। হ্রদে নামার জন্য যা যা প্রস্তুতি, সবকিছু শেষ করেছি। জাল ও নৌকা মেরামত করা হয়েছে। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেছেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে যথেষ্ট পানি থাকায় মাছ প্রথম থেকেই প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আশা করছি, এবার পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা সব প্রস্ততি নিয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে বিএফডিসি ঘাটে মাছ আসবে।
বিএফডিসির রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমাদের উপকেন্দ্রগুলোর যেসব অবকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেসব আমরা শেষ করেছি। অন্যান্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, সেসবও শেষ হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবছরও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।
ঢাকা/শংকর/রফিক