Samakal:
2025-09-18@03:00:54 GMT

বাদোসা পাওলার গল্পটা অন্যরকম

Published: 22nd, January 2025 GMT

বাদোসা পাওলার গল্পটা অন্যরকম

প্রচণ্ড একটা মানসিক দ্বন্দ্ব প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খাচ্ছিল মেয়েটিকে। মেরুদণ্ডের ব্যথাটা তাঁর এতটাই গুরুতর, ঘুম ভাঙা প্রতিটি সকাল ঈশ্বরের আশীর্বাদ মনে করতে শুরু করেন পাওলা বাদোসা। ডাক্তার বলে দিয়েছেন, বছরে মাত্র তিনটি কর্টসন ইনজেকশন নিতে পারবেন। তার একটি বেশি হয়ে গেলে জীবন সংকট। এদিকে এপ্রিলের মধ্যেই দুটি নেওয়া হয়ে গেছে। বিছানার পাশে টেনিস র‍্যাকেটের দিকে তাকিয়ে তখন পাওলা নীরবে ভাবতে থাকেন, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হতে এখনও আট মাস বাকি। তিনি কি পারবেন মেলবোর্নের রেড লেভার অ্যারেনার কোর্টে দর্শকদের সামনে সার্ভ করতে। 

সাহস দেন তাঁর চিকিৎসক, খাদ্যাভ্যাস বদলে দেন তাঁর নিউট্রিশনিস্ট, জিমের ধরন বদলে দেন তাঁর ইনস্ট্রাক্টর। এভাবে প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহূর্তে একেকটি যুদ্ধ জয় করে অবশেষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পা পড়ল স্প্যানিশ কন্যা পাওলার। সেখানেই গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের কোকো গফকে কোয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি ৭-৫, ৬-৪ সেটে হারিয়ে দিয়েছেন।

দুই নম্বর র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা এই মার্কিন টেনিস তারকাকে যে পাওলা এতটা সহজেই নাস্তানাবুদ করে দেবেন, তা দেখে টেনিস বিশ্ব রীতিমতো অবাক। যিনি কিনা এক বছর আগেও র‍্যাঙ্কিংয়ে একশর মধ্যে ছিলেন না, সেই তিনি কিনা কোকো গফকে এভাবে হারিয়ে দিলেন। হাঁটু গেড়ে বসে মাটিতে মুখ লুকিয়ে কাঁদছিলেন পাওলা। পেছনের সে দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল কি তার? 

‘ডাক্তার আমাকে খেলা ছেড়ে দিতে বলেছিলেন। আমি একটা শেষ চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে। আমি এ জন্য আমার সেসব কোচিং স্টাফকে ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা মানসিকভাবে আমাকে ভীষণভাবে শক্তি জুগিয়েছিলেন।’ 

বছর সাতাশের এই বার্সেলোনার মেয়ের জন্য এটিই ছিল ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ডস্লামের সেমিফাইনালে ওঠা। যেখানে তাঁকে আগামীকালই মোকাবিলা করতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাবালেঙ্কাকে। পারবেন কি স্বপ্নের আরেকটু কাছে যেতে? 

‘আমার এই সংগ্রাম তখনই শেষ হবে, যতক্ষণ না আমি এই টুর্নামেন্ট না জিতি।’ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে পাওলার এই কথাগুলো ভীষণভাবে ছুঁয়ে যায় উপস্থিত সবাইকে। ২০২৩ সালে খেলতে গিয়ে গুরুতর ইনজুরিতে পড়েন তিনি। বড় বড় সার্ভ করা, গ্রাউন্ডস্ট্রোকসের পাশাপাশি বেসলাইনে ভীষণ আক্রমণাত্মক পাওলা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ