নওগাঁর বদলগাছীতে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করার সময় চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৩ জানুয়ারি রাত ৮টায় দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বদলগাছী থানাধীন মথুরাপুর এলাকায় রাস্তার ওপর অজ্ঞাত ৭-৮ জন পুলিশ পরিচয়ে ধামইরহাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের নুর ইসলামকে থামিয়ে নগদ ৩৭ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে।

এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হলে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বদলগাছী উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মাখন পাহানের ছেলে পলাশ কুমার পাহান, আজাহার আলীর ছেলে রাজু হোসেন, মৃত হাসেম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নানের ছেলে ইউসুফ আলী, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বসিপুর গ্রামের সন্তোষ কুমার বসাকের ছেলে শতদল কুমার বসাক, রাসেল হোসেন ও গাইবান্ধা জেলার  সাঘাটা উপজেলার সাহিদুর রহমানের ছেলে রাসেদ মিয়া।

ঢাকা/সাজু/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

৪৫ কেজি মণ হিসাবে আম কিনে ৪০ কেজিতে বিক্রি, ঠকছেন গৃহস্থ ও খুচরা ক্রেতা

জয়পুরহাটে গৃহস্থদের কাছ থেকে ৪৫ কেজিতে ১ মণ হিসাবে নাকফজলি আম কিনে তুলনামলূক বেশি দাম ও কম পরিমাণে (৪০ কেজিতে ১ মণ ধরে) বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পাইকারী বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, ৪৫ কেজি নাকফজলি আম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনে খুচরা বাজারে ৪০ কেজি হিসাবে ১ মণ ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে গৃহস্থ ও খুচরা ক্রেতা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।  

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের রেলগেট এলাকায় এভাবেই সিন্ডিকেট করে আম কেনাবেচা হচ্ছে। খুচরা ক্রেতা ও গৃহস্থরা আম ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রশাসনের নজরদারির দাবি করেছেন।

প্রতিবেশী নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে নাকফজলি আমের উৎপাদন হয়। সেখানকার এই আম অন্য এলাকার চেয়ে সুস্বাদু। প্রতিবছর আমের মৌসুমে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের কিশোর মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত সড়কে এই আমের পাইকারি বাজার বসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত আম কেনাবেচা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারেরা সেখানে গিয়ে আম কেনেন।

আজ শনিবার সকালে আক্কেলপুর পৌর শহরের রেলগেট এলাকায় কয়েকজন গৃহস্থ ও খুচরা আম ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগে নাকফজলি আম ১ হাজার ৪০০ টাকা মণে বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর নাকফজলি আমের আমদানি বেড়েছে। এ কারণে আমের মণ ৬০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে। ৪০ কেজিতে মণ হলেও পাইকারেরা গৃহস্থদের কাছ থেকে ৪৫ কেজি মণে আম কিনছেন। কিন্তু পাইকারেরা দোকানে সেই আম ৪০ কেজিতে মণ ধরে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

বদলগাছীর ভান্ডারপুর গ্রামের আমচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, আক্কেলপুর বাজারে ৮০০ টাকা দরে ৩ মণ নাকফজলি আম বিক্রি করেছেন। ৩ মণ আমে ১৫ কেজি বেশি দিতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এটি চলে আসছে, যা অন্যায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।

অন্যদিকে রেলগেট এলাকা থেকে (৪০ কেজিতে মণ ধরে) ১ মণ নাকফজলি আম ১ হাজার ২০০ টাকায় কেনার দাবি করেন খুচরা বিক্রেতা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দোকানিরা প্রতি মণে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৫ কেজি মণ হিসাবে আম কিনে ৪০ কেজিতে বিক্রি, ঠকছেন গৃহস্থ ও খুচরা ক্রেতা