নওগাঁয় ছিনতাইকারী চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
Published: 22nd, January 2025 GMT
নওগাঁর বদলগাছীতে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করার সময় চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৩ জানুয়ারি রাত ৮টায় দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বদলগাছী থানাধীন মথুরাপুর এলাকায় রাস্তার ওপর অজ্ঞাত ৭-৮ জন পুলিশ পরিচয়ে ধামইরহাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের নুর ইসলামকে থামিয়ে নগদ ৩৭ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে।
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হলে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বদলগাছী উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মাখন পাহানের ছেলে পলাশ কুমার পাহান, আজাহার আলীর ছেলে রাজু হোসেন, মৃত হাসেম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নানের ছেলে ইউসুফ আলী, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বসিপুর গ্রামের সন্তোষ কুমার বসাকের ছেলে শতদল কুমার বসাক, রাসেল হোসেন ও গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার সাহিদুর রহমানের ছেলে রাসেদ মিয়া।
ঢাকা/সাজু/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় স্কুলছাত্র হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় স্কুলছাত্রকে অপহরণ ও হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–২–এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বদলগাছী উপজেলার খাদাইল গ্রামের মিশু মণ্ডল (২৫) ও পিংকি আক্তার (৩৪)। ১০ বছর কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন পূর্ব খাদাইল গ্রামের হুজাইফা ও সাজু আহম্মেদ। ঘটনার সময় তাঁদের বয়স ছিল ১৪ বছর। বর্তমানে তাঁরা ১৮ বছরের বেশি বয়সী। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নিহত স্কুলছাত্র নাজমুল হোসেনের বয়স ছিল ১৪ বছর। আসামি পিংকি ছদ্মনামে নাজমুলের সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর বিকেলে ফোনে ডেকে নাজমুলকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার কেসের মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছালে মিশু, পিংকি, হুজাইফা ও সাজু মিলে নাজমুলকে একটি বাড়িতে আটকে রাখেন। পরদিন মুঠোফোনে নাজমুলের বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না পেয়ে তাঁরা নাজমুলকে হত্যা করেন। নাজমুলের মরদেহ গোপন করতে মিশু প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে আক্কেলপুর রেলগেটের উত্তর পাশে একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দেন। ঘটনার চার দিন পর সেখান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নাজমুলের বাবা আল আমিন হোসেন ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর বদলগাছী থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় মিশু মণ্ডল, তাঁর বাবা আজমল মণ্ডল, একই গ্রামের রিনা পারভীন ও সোহাগ হোসেনের নাম উল্লেখ করে আরও ছয় থেকে সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে মিশু, পিংকি, হুজাইফা ও সাজুকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। চার আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলায় ২০ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। অভিযুক্ত দুই কিশোরের বয়স বর্তমানে ১৮ বছরের বেশি হওয়ায় তাঁদেরও নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।