উসমান-বিনুরার আচমকা বাদ পড়া নাকি অন্য কিছু!
Published: 22nd, January 2025 GMT
গত ৩ জানুয়ারি এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন চিটাগং কিংসের উসমান খান। পাকিস্তানি ডানহাতি ওপেনার দলের সাফল্যেরর অন্যতম রূপকার। সেঞ্চুরি বাদে বড় ইনিংস না খেললেও কার্যকরী শুরু এনে দিতেন।
চট্টগ্রামে শেষ চার ম্যাচে অবশ্য রান পাননি। ১০, ০, ১৯ ও ৭ শেষ চার ইনিংসে তার রান। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি, ২০২৫) তাকে দল থেকে বাদ-ই দিয়েছে চিটাগং। কিন্তু সত্যিই কি বাদ নাকি পেছনে অন্য কোনো কিছু আছে? বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে তার রান ২৮৫। স্ট্রাইক রেট ১৬৭.
তাকে নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে সতীর্থ বিনুরা ফার্নান্দোর আচমকা বাদ পড়া নিয়ে। উসমানের মতো এই ম্যাচেও বিনুরা ছিলেন না। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এই দুই নিয়মিত ক্রিকেটারের পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হয় জুবাইদ আকবারি ও হোসেনই তালাতকে। প্রথমবার এই দুই ক্রিকেটার নামেন অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।
আরো পড়ুন:
তানজিদের ব্যাটে হেসে খেলে ঢাকার চিটাগং জয়
লক্ষ্য নাগালে রাখল ঢাকা
চিটাগং কিংসের জন্য এই ম্যাচটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্লে’অফ নিশ্চিতে তাদের একটি জয়ই যথেষ্ট। সঙ্গে চট্টগ্রাম পর্বে, ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে শেষ ম্যাচ। তাই ম্যাচটাতে ছিল আলাদা গুরুত্ব। কিন্তু হতশ্রী পারফরম্যান্সে ঢাকার কাছে স্রেফ আত্মসমর্পণ করে দলটি।
ম্যাচ চলাকালীন গুঞ্জন ছড়ায়, শ্রীলঙ্কান বিনুরা ফার্নান্দো পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতার কারণে দলের সঙ্গে মাঠেই আসেননি। একই কথা ছড়ায় উসমান খানকে নিয়েও। যদিও বিনুরার পারিশ্রমিক জটিলতার বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন দলের ম্যানেজার লাভলু।
‘‘না। এরকম কোনো কিছু নয়। আসলে আমাদের নতুন ক্রিকেটার এসেছে, হুসাইন তালাত। আমরা এই কারণেই ওকে (বিনুরা) বদলেছি। আজকে আমাদের ব্যাটিং কিন্তু একটু গভীর রেখেছিলাম। যেহেতু ও (তালাত) অলরাউন্ডার, তাই দলের সমন্বয়ের জন্যই ওকে নেওয়া’’
পারিশ্রমিকের বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘‘পারিশ্রমিকের কোনো সমস্যা নেই। ওর (বিনুরা) যে চুক্তি, এর পঞ্চাশ শতাংশ আগেই দিয়েছি। তাই এই পারিশ্রমিকের কারণে ও দলের বাইরে নয়।’’
সংবাদ সম্মেলনে উসমান খানের বিষয়টি উঠেনি। পরবর্তীতে মুঠোফোনে লাভলু বলেছেন, ‘‘কালকে চলে যাবে (পাকিস্তান)। হয়তো কোনো ক্যাম্পে ডাক পেয়েছে। ২৩ তারিখে যাবে। ওদের জায়গায় কাদেরকে খেলাব সেটা দেখার জন্য আজকে খেলানো হয়নি। হুট করেই তো আর খেলানো যায় না। এজন্য বাকিদেরকে আজ খেলানো হয়েছে।’’
উসমান খানের সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট নেওয়া ওয়াসিম দলের অনান্যদের তুলনায় একেবারে খারাপ করেননি। বিশেষ করে ডেথ ওভারে রান আটকে রাখার কাজটা করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে শেষ দুই ম্যাচে খেলানো হয়নি।
ম্যানেজারের ভাষ্য অনুযায়ী, উসামন ও ওয়াসিম দুজনই আগামীকাল পাকিস্তান উড়াল দেবেন।
এদিকে পুরো দলের পারিশ্রমিক নিয়ে ম্যানেজার লাভলু বলেছেন, ‘‘সার্বিকভাবে আমাদের দলের দেশি ও বিদেশি, সবারই পারিশ্রমিক হয়েছে। অন্য দলের মতো নয়। আমাদের যথেষ্ট ভালো পরিমাণে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ দেখা যায় ৭০ শতাংশ পেয়ে গেছে, কেউ ৫০ শতাংশ পেয়েছে, কেউ আবার ৪০-৪৫ শতাংশ আছে। তবে বেশিরভাগ ক্রিকেটার ৫০ শতাংশ পেয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের বাকিটাও... আমাদের তো সাত দিনের বিরতি আছে। এর মধ্যে আমরা বাকিগুলোও দিয়ে দেব আশা করি।’’
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উসম ন খ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত