অবৈধ সম্পদ: তাজুল দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা
Published: 22nd, January 2025 GMT
১৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ৯৪১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২১ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
দুদক জানায়, প্রথম মামলায় আসামি কুমিল্লা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো.
এছাড়া তার নিজ নামের ৩৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ১১৭ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্পদের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করাসহ তা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের সঙ্গে তাজুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে। স্বামীর অবৈধ সম্পদে সম্পদশালী হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জন ও নিজ নামের ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের আগস্ট মাসে তাজুল দম্পতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে কুমিল্লা-৯ আসনের এমপি নির্বাচিত হন তাজুল ইসলাম।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক সচিব ও উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- উদ্দীপনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিন ফয়সাল, শওকত হোসেন ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।
আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬)-এর ২৪/৩ ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯(১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল হতে অনুমোদনহীন নামমাত্র ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোল্ডব্রিকস ও ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে তহবিল হতে স্থানান্তর করেছেন। উক্ত জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন।