মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। বুধবার কুয়ালালামপুরের পর্যটন এলাকা বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এ অভিযানে ৬১ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অংশ নেয় বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা।
প্রতিবেদনে কুয়ালালামপুরের ইমিগ্রেশন পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফের বরাত দিয়ে বলা হযেছে, কুয়ালালামপুর সিটি হলের সহযোগিতায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অভিযান শুরু হয়। আটকদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। এছাড়া মিয়ানমারের ৬০ জন, ইন্দোনেশিয়ার ২৪ জন, নেপালের ১৬ জন, পাকিস্তানের তিনজন এবং মিসর ও সুদানের একজন করে নাগরিক আছেন।
এতে বলা হয়, আটকদের মধ্যে অনেকের বৈধ কাগজপত্র নেই। অনেকের এই দেশে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট আইন অনুসারে মামলাটির তদন্ত চলছে। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তাদের ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টারে নেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫