বাংলাদেশের উত্তরের জেলা নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে। মাঘের মাঝামাঝি সময়ে সকাল থেকে কুয়াশা তেমন না থাকলেও কনকনে শীতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নওগাঁর মানুষদের।

রোববার সকাল ৯টায় নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এবারের শীতে এটাই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গতকাল শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল থেকেই ভোরেই কুয়াশা ও মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য উঠতে দেখা গেছে। তবে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। গত দুইদিন থেকে সূর্যের দেখা মিললেও আবারও বিকেল হতেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে শুরু করে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে ঠাকে।

এদিকে এই শীতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিম্নআয়ের ও কৃষিজীবি মানুষকে। জীবিকার তাগিদে সকাল হলেই এসব মানুষ মোটা গরম কাপড় পড়ে কেউ সাইকেল নিয়ে আবার কেউ পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। এছাড়াও নওগাঁতে এখন বোরো ধান রোপণের ভরা মৌসুম চলছে। শীতের কারনে ধান রোপনে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।

বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আরেক রিকশাচালক মফিজ বলেন, আজকে সকাল থেকেই কুয়াশা কম। তবে বাতাস হচ্ছে। এই কারণে শীত বেশি লাগছে। বিকেলের পর থেকে শীত পড়ে আরও বেশি। তখন রিকশা চালানো খুব সমস্যা হয়ে পড়ে।

সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সরাইল গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, গত দুই দিন থেকেই রোদ আছে। তবে সকালে জমিতে নামা যায় না। পানিতে পা দিলে মনে হয় হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায়। আর এখন ধান লাগানোর কাজ চলছে। এই ঠান্ডায় সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কাজে নামাই যায় না।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আকাশে মেঘ না থাকায় আজ কুয়াশার পরিমাণ কম ছিল। এক সঙ্গে সূর্যের দেখাও মিলেছে। তবে কুয়াশা না থাকলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে নওগাঁয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ