গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শীত বিতরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে উপজেলার কয়েকটি বাড়িতে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে। 

গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম দাড়িয়ার উদ্যোগে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় বলে ওই ভিডিওতে দাবী করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ নেতা নিউটন মোল্লা তার ফেসবুকে বিষয়টি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে ছাত্রলীগের এক নেতা দাবী করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ও কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম দাড়িয়ার উদ্যোগে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এসময় শেখ হাসিনা ও শামীম দাড়িয়ার জন্য দোয়া চাওয়া হয়।

তবে শামীম দাড়িয়ার উদ্যোগে কোটালীপাড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তাকে কোটালীপাড়া উপজেলায় দেখা যাচ্ছে না। শামীম দাড়িয়াসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতা-কর্মীরা ৫ আগস্টের পর কিছু দিন এলাকায় থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরপাকড় শুরু হলে তারা আত্মগোপনে চলে যান।

শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার পর এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন। তখন তারা কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ঘোষণা করেছিলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত কোনো নেতা-কর্মী ঘরে ফিরবেন না। কিন্তু, এর কিছু দিন পরে দলীয় নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।

গত ১৭ বছর বছর ধরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও উপজেলা সদর ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের পদচারণয় মুখরিত থাকলেও এখন সেখানে সুনসান নীরবতা। কার্যালয়ে ঝুলছে তালা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ শ তবস ত র ব তরণ দল য় ন ত কর ম র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ