ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী
Published: 26th, January 2025 GMT
গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক সুলতানা মুনীরা জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু এবং সদস্য সচিব এটিএম আবদুল বারী ড্যানী। স্বাগত বক্তব্য দেন পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আলী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা রহমান চৌধুরী বাবলী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড.
অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অ্যালামনাই সংগঠনগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার এবং দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগের ৪ জন কৃতি অ্যালামনাইকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন অধ্যাপক মো. জাহিদ আনোয়ার, আফরোজা বেগম বুলবুল, হোসনে আরা বেগম ব্লু এবং কার্টুনিস্ট আসিফুল হুদা।v
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সিএসই ফেস্ট
ক্যাম্পাস ডেস্ক
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ ‘ইউআইইউ সিএসই ফেস্ট ২০২৫’ শিরোনামে আন্তঃকলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্লক চেইন অলিম্পিয়াড, আইসিটি অলিম্পিয়াড, প্রজেক্ট শো, লাইন ফলোয়িং রোবট (এলএফআর), প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ মোট ছয়টি বিষয়ে দুই দিনব্যাপী (১৭-১৮ জানুয়ারি) প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ইউআইইউ ক্যাম্পাসে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর উপাচার্য প্রফেসর মো. আবুল কাশেম মিয়া। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রায় ৮০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩০টি কলেজ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিশেষ করে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ ও আইসিটি বিভাগের তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য থাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব