সুস্থ হয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় গেলেন সাইফ
Published: 27th, January 2025 GMT
নিজ বাড়িতে হামলার ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে অবশ্য ছাড়া পান সাইফ আলী খান। এরপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। কিছুটা সুস্থ হতেই স্ত্রী কারিনা কাপুর খানের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরতে দেখা গেল তাকে। তার সঙ্গে দেখা গেল ছেলে ইব্রাহিমকেও।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বান্দ্রার ‘ফরচুন হাইটস’ থেকে বেরিয়েছিলেন সাইফ। তার পরনে ছিল নীল টি-শার্ট, ডেনিম জিন্স। চোখে রোদচশমা। তবে দ্রুত গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি। তাকে ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। পুলিশ ছাড়াও ছিলেন অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা। যদিও সাইফ কোথায় গিয়েছিলেন তা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সাইফ। এরপর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফেরেন পুরনো বাড়ি বান্দ্রার ‘ফরচুন হাইটস’-এ।
চিকিৎসকের পরামর্শ, আগামী ২ মাস অভিনেতাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। শুটিং, জিম একেবারে বাদ।
কয়েকদিন আগে গভীর রাতে নিজের বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার হন সাইফ। মেরুদণ্ডের নিচে ছুরির একাংশ গেঁথে গিয়েছিল। আঘাত লেগেছিল হাতে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায়। পরের দিনই লীলাবতী হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার হয় তার। অবশেষে স্বাভাবিক জীবনে তিনি ফিরতে চলেছেন, তা স্পষ্ট হল এদিনের ভিডিওতে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।