বন্দরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয়ে নিরীহ দোকানীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাতনামা এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এরূপ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। 

এ ঘটনায় বন্দরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রহিমা আক্তার ইতি বাদী হয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আমি ইতি (৩৫), পিতা- মোঃ আব্দুর রব খান, সাং- উপজেলা ভূমি বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, আপনার বন্দর থানায় হাজির হয়ে অজ্ঞাতানামা বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করছি যে, আমি উপজেলা পরিষদে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কর্মরত আছি। 

সোমবার সকাল অনুমান ১১টায় আমার দায়িত্বরত উপজেলার অধীনস্থ কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ কাউসার আমাকে মোবাইল ফোনে জানান যে, অজ্ঞাতনামা একটি মোবাইল নাম্বার ০১৮৬০-৪৯২৫৭৭ হতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মাসুম এর নিকট ফোন করে নিজেকে বন্দর উপজেলা পরিষদের এসিল্যান্ড হিসেবে পরিচয় দেয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ হতে স্থানীয় একটি বেকারীতে গ্রাম পুলিশ পাঠানোর কথা বলে।

সে সময় ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তা কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হতে গ্রাম পুলিশ মঞ্জুকে পাঠায়। গ্রাম পুলিশ মঞ্জুর মোবাইল নাম্বার ০১৮৪৫- ৬১৫৯৪৪ এ উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি কথাবার্তা বলে এবং গ্রাম পুলিশ মঞ্জুকে দিয়ে প্রথমে বেকারীর লোকজনদের সাথে কথাবার্তা বলে এবং পরবর্তীতে তাকে বন্দর থানাধীন সাবদি বাজারস্থ একটি মিষ্টির দোকানে যেতে বলে। 

অজ্ঞাতামা ব্যক্তি মিষ্টির দোকানদারের সঙ্গে কথাবার্তা বলা শেষ হলে উক্ত মিষ্টির দোকানদার গ্রাম পুলিশ মঞ্জুর নিকট নগদ ৭৮০০/- টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে নিজেকে এসিল্যান্ড হিসেবে পরিচয় প্রদানকারী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গ্রাম পুলিশ মঞ্জুকে একটি বিকাশ নাম্বার ০১৮৬০-৪৯১৮৩৩ দেয় এবং গ্রাম পুলিশ মঞ্জু  বিকাশের দোকান হতে উক্ত নাম্বারে ৭৮০০/- টাকা পাঠিয়ে দেয়। উক্ত বাক্তি মঞ্জুকে দিয়া আরো কয়েকটি দোকানে এইভাবে টাকা নেয়ার চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে বিষয়টি তাদের সন্দেহ হয় এবং আমাকে উক্ত বিষয় জানায়। 

অজ্ঞাতনামা কে বা কারা মোবাইলে ফোন করে নিজেকে এসিল্যান্ড পরিচয় দিয়ে প্রতরণার মাধ্যমে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছে। পরবর্তীতে তাদের নিকট হতে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ শুনে বিষয়টি বন্দর উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে থানায় ও অভিযোগ দায়ের করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল গ ছ য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে