সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু
Published: 28th, January 2025 GMT
রাজধানীর কুর্মিটোলায় অবস্থিত সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আন্তঃহাউস বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, বার্ষিকীর মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়।
এরপর জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা উত্তোলনের পর পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী (২৮ ও ২৯ জানুয়ারি) এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.
আরো পড়ুন:
ঢাবি ও ঢাকা কলেজ
শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধের আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
‘নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ উইং কমান্ডার মো. মনিরুজ্জামান, পিএসসি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে মার্চপাস্ট, খেলাধুলার মশাল প্রজ্বালন, মার্শাল আর্ট প্রদর্শন, পিটি ডিসপ্লে, ম্যাগাজিন উন্মোচন, সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী, যেমন খুশি তেমন সাজো’র আয়োজন করা হয়।
এরপর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এসব আয়োজনে অভিভাবক, শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’