ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশনে গ্রাহককে ইলেকট্রনিক ডিভাইস মেরামতের সুযোগ করে দিতে চালু হয়েছে স্মার্ট পরিষেবা। ‘১০০০ ফিক্স স্টেশন’ নামে পরিচিত পরিষেবা আপাতত মতিঝিল, শাহবাগ, ফার্মগেট, আগারগাঁও ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে পাওয়া যাবে। উল্লিখিত সবকটি স্টেশনে স্মার্ট কিওস্ক থেকে গ্রাহকরা নষ্ট হওয়া ল্যাপটপ, পিসি বা আইপিএস জমা দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের পর তা সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন।
স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে স্মার্ট পরিষেবার ঘোষণা করেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, ১০০০ ফিক্স সার্ভিসের চিফ সার্ভিস অফিসার ইফতেখার রাসেল, ডিজিবক্স লিমিটেডের হেড অব অপারেশন এস কে মাসুদুর রহমান ও স্পিড টেকনোলজির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুমন পরিষেবার উদ্বোধন করেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সচিব খোন্দকার এহতেশামুল করিম বলেন, উদ্ভাবনী কিওস্ক প্রযুক্তি গ্রাহকের ডিজিটাল পরিষেবাকে সহজ করবে, যা দেশের ডিজিটাল পণ্য সেবায় নতুন সম্ভাবনার কথা বলছে।
প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, মেট্রোস্টেশনে প্রচলিত সিস্টেম গ্রাহকের জন্য আরও সুবিধাজনক সেবা নিশ্চিত করবে।
স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম জানান, স্মার্ট গ্রুপ সর্বদা প্রযুক্তিকেন্দ্রিক সেবার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমন লক্ষ্য বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগ নেওয়া।
ডিজিবক্স এবং ১০০০ ফিক্সের সম্মিলিত উদ্যোগে তৈরি পরিষেবা স্টেশন গ্রাহকের সময় বাঁচিয়ে দ্রুত ও সহজ সেবা নিশ্চিত করবে বলে জানান ডিজিবক্স লিমিটেডের হেড অব অপারেশন এস কে
মাসুদুর রহমান। ১০০০ ফিক্স স্টেশনের ব্র্যান্ডিং অফিসার ইমদাদুল হক জানান, প্রথম ধাপে পাঁচটি স্টেশনে সেবা চালু হলেও ভবিষ্যতে সবকটি স্টেশনের সঙ্গে শপিংমলে পরিষেবা সম্প্রসারণ করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র রহম ন গ র হক পর ষ ব
এছাড়াও পড়ুন:
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি
মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে।
আরো পড়ুন:
জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ