স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটেছিলেন স্ত্রী, ক্ষোভে স্ত্রী’র হাত কাটলেন
Published: 29th, January 2025 GMT
পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার ক্ষোভ থেকে স্ত্রীর ডান হাত কেটে দ্বি-খণ্ডিত করেছেন ফিরোজ মিয়া (২৮) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ফিরোজের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে। তিনি রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম (২৫) একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
হাত কেটে ফেলার সময় জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার স্বামী ফিরোজকে আটকে রেখে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেয়। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার আশুলিয়ার গাজীরচর এলাকার সেলিম মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জাকিয়ার বাবা জামিল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়।
এর আগে গত বছরের ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়ার সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ভুক্তভোগী ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাককারখানায় চাকরি নেন। স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে প্রতিশোধের নেশায় জাকিয়ার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ফিরোজ। পুনরায় আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার সেলিম মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করে আসছিল তারা।
এরপর সুযোগ বুঝে দুই দিন আগে জাকিয়ার ডান হাত কেটে দুই খণ্ড করে এবং তার বাম হাতেও আঘাত করে। এ সময় জাকিয়ার চিৎকার শুনে বাসার আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। ফিরোজ ও জাকিয়ার সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক হওয়া জাকিয়ার স্বামী ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।”
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।