পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার ক্ষোভ থেকে স্ত্রীর ডান হাত কেটে দ্বি-খণ্ডিত করেছেন ফিরোজ মিয়া (২৮) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

অভিযুক্ত ফিরোজের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে। তিনি রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম (২৫) একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।

হাত কেটে ফেলার সময় জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার স্বামী ফিরোজকে আটকে রেখে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেয়। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার আশুলিয়ার গাজীরচর এলাকার সেলিম মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

জাকিয়ার বাবা জামিল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়।

এর আগে গত বছরের ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়ার সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ভুক্তভোগী ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাককারখানায় চাকরি নেন। স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে প্রতিশোধের নেশায় জাকিয়ার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ফিরোজ। পুনরায় আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার সেলিম মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করে আসছিল তারা।

এরপর সুযোগ বুঝে দুই দিন আগে জাকিয়ার ডান হাত কেটে দুই খণ্ড করে এবং তার বাম হাতেও আঘাত করে। এ সময় জাকিয়ার চিৎকার শুনে বাসার আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। ফিরোজ ও জাকিয়ার সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক হওয়া জাকিয়ার স্বামী ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।”

ঢাকা/কাওছার/এস 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের বি‌ক্ষোভ, চল‌বে মঙ্গলবারও 
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা