আহ্সান উল্লাহ্ মাস্টার হত্যা মামলায় আপিল শুনানি ২৬ ফেব্রুয়ারি
Published: 30th, January 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহ্সান উল্লাহ্ মাস্টার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি আহ্সান উল্লাহ্ মাস্টার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল দ্রুত শুনানি করতে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আহ্সান উল্লাহ্ মাস্টারকে। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলার রায় ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ঘোষণা করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে মামলার আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পরে বিচারিক আদালতের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি ওই রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করে আসামিরা। এর পর উভয় আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ছয়জনের ফাঁসি বহাল রাখা হয়।
এ মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে নিম্ন আদালতে ২৮ জনের দণ্ড হয়। এর মধ্যে ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এসব আসামির মধ্যে ১৭ জন কারাগারে ও ৯ জন পলাতক। দু’জন মারা গেছেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক আপিল আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সাবেক অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা
এলইডি বিলবোর্ড স্থাপনকে কেন্দ্র করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ২৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আসামি করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ বিলালসহ ছয়জনকে।
আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলার অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন চাকরিচ্যুত সাবেক উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, টিসিএল অপটোইলেকট্রনিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতার হামিদ খান, বেস্টওয়ানের মালিক মোসা. মমতাজ বেগম, বৈশাখী ট্রেডার্সের মালিক মো. গাফ্ফার ইলাহী ও জি-টেকের মালিক সুলতানা দিল আফরোজা।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশ করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন উপেক্ষা করে নির্বাচিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এতে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।