সুজান খানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন বলিউডের ‘গ্রিক গড’ হৃতিক রোশান। ২০১৩ সালে ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। এরপর এক যুগের বেশি সময় কেটে গেছে। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের কারণ জানাননি এই জুটি। দীর্ঘ দিন পর হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশান জানালেন— ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সংসার ভেঙেছে হৃতিক-সুজানের।

কয়েক দিন আগে যুবার সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন পরিচালক-অভিনেতা রাকেশ রোশান। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “যা ঘটেছে তা এই দম্পতির মধ্যেই ঘটেছে। আমার কাছে সুজান সুজানই। তারা প্রেমে পড়েছিল, তাদেরই ভুল বোঝাবুঝি ছিল এবং তাদেরকেই এটি সমাধান করতে হবে। সুজান আমাদের বাড়িতে এসেছিল, এখনো সে আমাদের বাড়িরই একজন সদস্য।”

তবে কী নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল হৃতিক-সুজানের, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’খ্যাত এই পরিচালক।

আরো পড়ুন:

‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমার রজত জয়ন্তী: স্মৃতির ডায়েরি খুললেন হৃতিক

বলিউডের প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকাদের ‘পুনর্মিলনী’

পুত্র হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে কথা বলেন রাকেশ রোশান। তার ভাষায়, “হৃতিক ও আমার মেয়ে আমাকে একটু ভয় পায়। কেন ভয় পায় তা আমি জানি না। সম্ভবত, আমি একজন সুশৃঙ্খল মানুষ। আমি খুব বদমেজাজি মানুষ নই। কাউকে তিরস্কার করার মতো মানুষ আমি নই। কিন্তু আমি খুব নিয়মনিষ্ঠ। ওরা যখন ছোট ছিল, তখন আমার সঙ্গে ওরা অকপটে কথা বলত না, এখন বলে। বাড়িতে আমরা বন্ধুর মতো।”

২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন হৃতিক রোশান ও সুজান খান। ২০০৬ সালে জন্ম হয় এই দম্পতির প্রথম সন্তান হৃহানের। ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের দ্বিতীয় সন্তান হৃদান। কিন্তু এ জুটির চলার পথে ছন্দপতন ঘটে। ২০১৩ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় সুজান ৪০০ কোটি রুপি খোরপোশ দাবি করেন। সর্বশেষ ৩৮০ কোটি রুপি গুণতে হয় হৃতিককে।

সংসার ভেঙে গেলেও প্রায়ই দু’জন মিলে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান হৃতিক-সুজান। দুই পুত্রকে নিয়ে বিদেশে অবসর কাটাতেও দেখা গেছে। ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে দুবাইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন হৃতিক। 

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের

নাটোরে ছুরিকাঘাতে খোরশেদ আলম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার তেগাছি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত খোরশেদ ওই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে ও পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। অভিযুক্ত সালমান (১৭) একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালমানের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনেন খোরশেদ আলম। এ ঘটনায় সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে খোরশেদকে কুপিয়ে জখম করে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান আত্মগোপনে

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত সালমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে মামলাসহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/আরিফুল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিষ্টি জান্নাতের উটের দুধের ব্যবসা
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে ফেসবুকে হুমকি, দুঃখ প্রকাশ করলেন বৈষম্যবিরোধী নেতা
  • নবীজির (সা.) অদ্ভুত দোয়া
  • অর্থ আত্মসাত: খুলনায় নারী ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
  • বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ৪ নেতা হাসপাতালে
  • অমিতাভের চিরকুট কিংবা ফ্যাশন নিয়ে রাধিকার ১০ প্রশ্নের জবাব, ১০ ছবি
  • মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের