ড়াই শক্তি- ক্রীড়াই বল, সুস্থ্য দেহে সুন্দর মন, উৎসবমুখর পরিবেশে সিদ্ধিরগঞ্জের ‘‘মিজমিজি পশ্চিমপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ”র বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আনন্দময় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে এ  সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শন করেন এবং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে ছিল নৃত্য, গান, নাটক, কবিতা আবৃত্তি ও অন্যান্য পরিবেশনা।

শিক্ষার্থীরা তাদের অনুশীলিত প্রতিভা দেখিয়ে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে, স্কুলের ছোটদের নৃত্য এবং গান সকলের মন জয় করে নেয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়, শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক শিল্পী, শ্রেষ্ঠ বক্তা, শ্রেষ্ঠ কবি ও শ্রেষ্ঠ নৃত্য সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হোন শিক্ষার্থীরা। এই পুরস্কারগুলি শিক্ষার্থীদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে বলে আয়োজকরা জানান।

মিজমিজি পশ্চিমপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও দাতা সদস্য মোস্তফা কামাল মেম্বার, দাতা সদস্য আবুল কাশেম, হযরত আলী কন্ট্রাকটর, হযরত আলী, হুমায়ূন আহমেদ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এমএ গাফফার ও আব্দুল মান্নান সাগর সহ অত্র স্কুলের সকল সম্মানিত দাতা, প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক- শিক্ষিকা-শিক্ষার্থীসহ আরো অনেকে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল

হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব-রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক পলাতক রয়েছেন। তিনি কোনো ধরনের ছুটি না নিয়ে কর্সস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে, হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি সামনে এলে ওই কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা ইমাম পরিষদ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করে আসছিলেন। অথচ মহান আল্লাহ স্বয়ং মহানবী (স.) এর চরিত্রের সনদ দিয়েছেন। সমস্ত পৃথিবীর রহমত স্বরূপ তাকে প্রেরণ করা হয়েছে। তার এ হীন কাজের জন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আরো পড়ুন:

রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি

নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের 

শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সারা দেশের মানুষকে আলোর পথ দেখাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এবং আল হাদিস বিভাগের কর্মকর্তার রাসূলের শানে এ ধরনের বেয়াদবি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রশাসনের কাছে এই কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।

ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে নারীলোভী ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চরম কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেছে যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছে। এমন ঘৃণ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য শুধু ধর্মীয় সহনশীলতা নষ্ট করে না, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। 

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। তবে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক বিভাগে আসছে না। এ বিষয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মহানবী (সা.)-কে কটুক্তিকারী মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মহানবী (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করার অভিযোগে গ্রামবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।  

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল