কামরাঙ্গীচরের সেই ঘটনা নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
Published: 31st, January 2025 GMT
একের পর এক বাধার মুখে পড়ছেন ঢাকাই শোবিজের শিল্পীরা। মেহজাবীন, পরীমণির পর সম্প্রতি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে একই ঘটনার শিকার হন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। পুরো বিষয়টি নিয়েই শুরু থেকে নীরব ভূমিকায় ছিলেন অপু বিশ্বাস।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মুখ খুলেছেন তিনি। রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে অপু বিশ্বাসকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে যে খবর, তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন নায়িকা।
জানা গেছে, ঢাকার কামরাঙ্গীচরে একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করার কথা ছিল অপু বিশ্বাসের। স্থানীয় ‘মুসল্লি’রা বিষয়টি জানতে পেরে সংগঠিত হয়ে কামরাঙ্গীচর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে অপুকে ছাড়াই সেই রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
তবে অপু বিশ্বাস কেন অনুষ্ঠানে যাননি, এমন প্রশ্নে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘মালিকপক্ষ থেকে যোগাযোগ করে বলল, আপু, টাইম শেষ। আপনি একটা সুন্দর ভিডিও পাঠিয়ে দিন।’ কিন্তু কেন, পাল্টা প্রশ্নে অপু জানান, ‘তাদের ইলেকট্রিসিটি সমস্যা ছিল।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।