৫৭ বছর বয়সেও অক্ষয় কুমারের ফিটনেসের কাছে হার মানবে তরুণরাও। বলিউডের অভিনেতাদের মধ্যে ফিটনেস নিয়ে সবচেয়ে সচেতন যদি কেউ থাকেন, তিনি খিলাড়ি। নিজে যেমন শরীর সচেতন, তেমনই অনুরাগীদেরও ফিট থাকার পরামর্শ দেন সর্বক্ষণ। এবার নরেন্দ্র মোদির থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে বড় পরামর্শ দিলেন বলিউড অভিনেতা।

উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে ‘ন্যাশনাল গেমস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ শীর্ষক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আজকাল দেশে স্থূলতার সমস্যা খুবই বেড়েছে, বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। এ থেকে ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগের মতো অসুখ বাড়ছে।’

ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন, দু’টি বিষয় খেয়াল রাখতে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চা। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, প্রতি দিন ১০ শতাংশ ভোজ্য তেল গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে।

এর পরেই বেশ কিছু পরামর্শ দেন অক্ষয়ও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই পরামর্শগুলো দেন তিনি। 

অক্ষয় কুমার লেখেন, ‘একেবারে সত্যি! বহু বছর ধরে আমি এটাই বলে আসছি। খুব ভাল লাগছে, প্রধানমন্ত্রী নিজে এত ভাল করে বুঝিয়ে বলেছেন। স্বাস্থ্য ভাল থাকলে সব কিছু ঠিক থাকে।’

স্থূলতার সঙ্গে লড়াই করার কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন তিনি তার পোস্টে। লিখেছেন, ‘স্থূলতা দূর করতে হলে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন। টাটকা হাওয়া ও সূর্যের আলোও দূর করতে পারে স্থূলতা। তবে বাদ দিতে হবে প্রক্রিয়াজাত খাবার। সঙ্গে অল্প তেলের খাবার খেতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি দেশি ঘিয়ে খাবার খাওয়া যায়। এছাড়া চলাফেরা করতে থাকুন। যে কোনও ধরনের শরীরচর্চা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। আমার কথা বিশ্বাস করুন এবং এগিয়ে যান।’

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অক্ষয়ের ছবি ‘স্কাইফোর্স’। এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘সিংহম আগেন’ ও ‘খেল খেল মে’ ছবিতে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ