মুন্সীগঞ্জে বালু উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষের জেরে ফের হামলা, অন্তঃসত্ত্বা নারী গুলিবিদ্ধ
Published: 31st, January 2025 GMT
মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে মুন্সীগঞ্জ সদরের নদী তীরের কালিরচর গ্রামে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে পিংকি আক্তার (২০) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। শুক্রবার সকালে মেঘনা তীরবর্তী সদর উপজেলার কালীরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পিংকি আক্তারকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও আধিপত্য নিয়ে কালীরচর গ্রামের কাছে মেঘনা নদীতে জহিরুল ইসলাম ও কিবরিয়া মিজির গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে রিফাত ও রাসেল নামের দুজন নিহত হয়। এর জেরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জহিরুল ইসলামের ভাই শাহীন বেপারীর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ কালীরচর গ্রামে প্রতিপক্ষ রাজু সরকারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় রাজুকে না পেয়ে তার বোন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পিংকিকে সামনে পেয়ে গুলি ছোড়ে তারা। এতে ওই নারীর উরুতে গুলি লাগে। পিংকির ভাই রাজু প্রতিপক্ষ কিবরিয়া মিজির সহযোগী।
গুলিবিদ্ধ পিংকি আক্তার বলেন, জহিরুল ইসলামের লোকজন আমার ভাইকে না পেয়ে আমাকে গুলি করে চলে যায়।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার জানান, এ ঘটনার পর কালিরচর গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ক ল রচর গ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।