জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মিছিল
Published: 31st, January 2025 GMT
পতিত আওয়ামী সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ সব রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বগুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর বগুড়া শহরের কলোনি জামিল মাদরাসার সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। সেটি বড়গোলা হয়ে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় মুক্তমঞ্চে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যকরি পরিষদ সদস্য ও বগুড়া শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজোয়ানুল ইসলাম, বগুড়া জেলা পূর্বের সভাপতি জোবায়ের হোসেন, বগুড়া জেলা পশ্চিমের সভাপতি সাইয়্যেদ কুতুব সাব্বির, বগুড়া শহর শাখার সেক্রেটারি হাবিবুল্লাহ, পশ্চিম জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আল-ইমরান ও পূর্ব জেলা সেক্রেটারি শাহরিয়ার হাসান বিপ্লব।
আরো পড়ুন:
নদী থেকে পাওয়া মৃত শিশুর পোশাক দেখে নিজের সন্তান দাবি
ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ক্যাবের
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর সারা দেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হলেও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করেনি। সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র করার সাহস দেখাচ্ছে। অবিলম্বে সারা দেশে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা না হলে ছাত্রশিবির আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের দোসরদের উচিৎ শিক্ষা দিতে আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।