খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসা শেষ ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই
Published: 31st, January 2025 GMT
লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসা শেষ। এখন তিনি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে অন্যান্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছেন। দেশে ফেরা নির্ভর করছে তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর। ফেরার আগে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার চূড়ান্ত চেকআপ করানো হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য লন্ডন থেকে শুক্রবার রাতে সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ম্যাডামের মূল চিকিৎসা শেষ বলা যায়। এখন ফলোআপ করতে হবে। ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনির সঙ্গে আনন্দে সময় পার করায় মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। তিনিও শিগগির দেশে ফিরতে চান। তবে তারেক রহমান চাচ্ছেন, ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মাকে কাছে রাখতে। ফলে ম্যাডাম ঠিক কবে দেশে ফিরবেন, এটি তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান। লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন তাঁর চিকিৎসা চলে। এর পর ২৪ জানুয়ারি রাতে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ফেরেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
সম্প্রতি লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কিডনিতে কিছুটা সমস্যা থাকলেও উদ্বেগের কিছু নেই।
জানা যায়, খালেদা জিয়া না ফিরলেও সপ্তাখানেকের মধ্যে কয়েকজন সফরসঙ্গী চিকিৎসক দেশে ফিরবেন। এর পর তারা জুমে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। বাকি সদস্যরা শেষ পর্যন্ত থেকে যাবেন লন্ডনে।
দু’দিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা.
তিনি জানান, খালেদা জিয়া সার্বক্ষণিক অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে আছেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বাসায় নিয়মিত ফলোআপ করছেন। যুক্তরাজ্যের নিয়ম মেনে বাসায় তাঁর চিকিৎসা চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’