বিপিএলের ১১তম আসরের লিগ পর্বের শেষ দিনে আজ মুখোমুখি ঢাকা ক্যাপিটালস ও খুলনা টাইগার্স। নানা বিতর্ক, বিশেষ করে স্পট ফিক্সিং ইস্যুর কারণে বিপিএলের এই আসর সমালোচনার মুখে পড়লেও মাঠের ক্রিকেটে ব্যাট-বলের লড়াই দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিসিবিও টিকিট বিক্রি থেকে রেকর্ড আয় করেছে। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। যদিও প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গেছে দলটি, তবে জয় দিয়ে আসর শেষ করলে উপকৃত হবে দুর্বার রাজশাহী। অন্যদিকে, খুলনার জন্য ম্যাচটি একপ্রকার সেমিফাইনাল। জিতলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে, হারলেই বিদায়।  

এই ম্যাচে ঢাকা একাদশে এনেছে চার পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন জেপি কোটজে, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল ইসলাম অপু ও রন্সফোর্ড বিটন। তাদের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন হাবিবুর রহমান সোহান, আবু জায়েদ রাহি, রহমতউল্লাহ আলী ও ফরমানউল্লাহ শাফি। অন্যদিকে, খুলনা টাইগার্স এনেছে এক পরিবর্তন। পেসার আবু হায়দার রনির জায়গায় একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান।  

ঢাকার বিদায়ী ম্যাচ হলেও খুলনার জন্য এটি বাঁচা-মরার লড়াই। জয় পেলেই তারা সেরা চারে জায়গা করে নেবে, হারলেই বিদায় নিতে হবে আসর থেকে।

খুলনা টাইগার্স: মেহেদী হাসান মিরাজ, অ্যালেক্স রস, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মুশফিক হাসান, নাসুম আহমেদ, জিয়াউর রহমান, উইলিয়াম বসিস্তো এবং হাসান মাহমুদ।

ঢাকা ক্যাপিটালস: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মেহেদী হাসান রানা, হাবিবুর রহমান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান সোহান, থিসারা পেরেরা, রিয়াজ হাসান, রহমতউল্লাহ আলী, আবু জায়েদ রাহী, সাব্বির রহমান এবং ফারমানউল্লাহ শাফি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব ব র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ