বাংলাদেশি ৯ নর্তকীকে গ্রেপ্তারের দাবি ভারতের
Published: 1st, February 2025 GMT
ভারতের মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি থেকে ৯ বাংলাদেশি নর্তকীকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ। তারা কোনগাঁও নামের একটি গ্রামের স্থানীয় ড্যান্স বারে নাচতেন বলে দাবি তাদের।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন খবর পেয়ে ওই গ্রামের ঠাকুরপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় তারা। ওই সময় ৯ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সেখানে পাঁচ বছর ধরে আছেন বলে দাবি তাদের। যে বাড়ি থেকে এই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই বাড়ির মালিককেও নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে পুলিশ।
ভিওয়ান্দির অপরাধ বিভাগের সহকারী পুলিশ পরিদর্শক শ্রী রাজ মালি জানিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নারীরা হলেন শিমা বেগম সিরাজ, রেখা, রুপা, অঞ্জনী, শারদা বংশী সাহু, মমতা, পায়েল রাজু, পিংকি এবং কাজল। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যেগুলোর আনুমানিক দাম ৭০ হাজার রুপি। এছাড়া তাদের পাসপোর্ট ও ব্যক্তিগত নথি জব্দ করারও দাবি করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন এবং তারা ভিওয়ান্দিতে গত পাঁচ বছর ধরে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
কোনগাঁও থানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক নেতারাম মাস্কি বলেছেন, “গত দুই মাসে, বেশ কয়েকজন অবৈধ বাংলাদেশির তথ্য সামনে আসে। এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ২৪ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঢাকা/সুচরিতা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, বাবা থানায় আটকা ২৬ ঘণ্টা
ছেলে বিরুদ্ধে হুন্ডির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভ্যানচালক বাবাকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় ভ্যানচালক ফজলু প্রামাণিককে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। আজ সোমবার রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানার গারোদখানায় রয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার খোকসা থানায়। ফজলু উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের ধুসুন্ড গ্রামের বাসিন্দা। তাকে আটক করে থানায় আনেন এসআই তুষার।
ভ্যানচালক ফজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন এসআই তুষার। তিনি বলেন, ‘বৃদ্ধের বিরুদ্ধে গোপন অভিযোগ আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটকে রাখা হয়েছে।’ তবে কী অভিযোগে আছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আপনি ফাউ কথা না বলে, জায়গায় কথা বলতে বলেন।’
ভ্যানচালকের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল গাফ্ফার টোকন নামে এক ব্যক্তি হুন্ডির ব্যবসা করেন। নূর এন্টার প্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি হুন্ডির ব্যবসা করেন। আমার ছেলে সজল ওই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত। সম্প্রতি গাফ্ফারের কাছে বকেয়া বেতন দাবি করায় ছেলের সর্বনাশ হয়েছে। প্রথমে সজলের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন গাফ্ফার। এ টাকা জন্য জমি লিখে দেওয়ার চাপ দেন তিনি। এক পর্যায়ে দুই মাস আগে তার ছেলের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন গাফ্ফার। অভিযোগ মিটিয়ে ফেলার জন্য থানা-পুলিশ সজলের ওপর চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছেলে আত্মগোপন করায় রোববার সন্ধ্যায় এসআই তুষার আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নেন। এর পর থেকে তিনি থানার গারদে রয়েছেন।’
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সারাদিন জেলা সদরে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।’