ঢাবিতে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব শুরু
Published: 2nd, February 2025 GMT
‘বিশ্ব আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুই দিনব্যাপী ষষ্ঠ আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব শুরু হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্র এবং বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ ‘বিশ্ব আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে ‘যুক্তির স্রোতে জেগেছে বিশ্বাসের বালুচর, জাগো বাহে কোনঠে সবায়!’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাব’ বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করে।
ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি আসমা সুলতালা লিজার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.
এছাড়া ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূরুদ্দীন মুহাম্মাদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, “যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সমাজের ভিত্তি অনেক মজবুত হয়। নিয়মিত বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’