হঠাৎ কেন ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ মডেল
Published: 3rd, February 2025 GMT
টগবগ করে ছুটছে ঘোড়া। রাজধানীর একশ ফিটের এলাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারকা মডেল সায়রা আক্তার জাহান। কোনো শুটিংয়ের আয়োজন নেই। নেই চিরচেনা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনেরও হাঁকডাক। কাছে আসতেই অনেকে চিনে ফেলেছেন সায়রাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এই দৃশ্যও দেখছেন। তাহলে কি তিনি কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে শুটিংয়ের জন্য ঘোড়ায় চড়া শিখছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করলেন সায়রা নিজেই।
সমকালকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ঘোড়াপাগল ছিলাম। ইচ্ছা ছিল হর্স রাইডিং শিখব। এ জন্য মূলত শেখা। মরুভূমিতে ঘোড়ায় চড়ার বিষয়টি কল্পনা করতাম আমি। ঘোড়া সহজাতভাবে মহৎ। এ কারণে প্রাণীটির প্রতি আমার মায়া অনেক। আমাদের সবার এমন কিছু আছে, যা আমরা কল্পনা ও অনুভব করি। আমার জন্য এটি ছিল সর্বদা ঘোড়া। অবশেষে, আমার দিবাস্বপ্ন সত্য হয়েছে। ঘোড়ার পিঠে চড়ার প্রথম স্বাধীন অভিজ্ঞতা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তবে আমার জন্য এটি সহজ করায় বন্ধু ইমরান ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। সে ঘোড়াপ্রেমীদের জন্য ‘বুরাক’ নামে ঘোড়ার রাইডিং স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট সময় আমি সেখানে ক্লাস করছি।’
শুধু প্যাশন ছিল বলেই ঘোড়া চালনা শিখছেন নাকি অন্য কোনো বিষয় মাথায় রেখেছেন? ‘হ্যাঁ, অন্য একটি কারণও আছে। ঘোড়া নিয়ে পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী সিনেমা এদেশে এখনও কেউ বানায়নি। আমি চাই আগামীতে কেউ এ ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করুক। তখন চাইলেই আমি কাজ করতে পারব।’
হর্স রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘোড়া চালনা খুব উপভোগ করছি। যারা ঘোড়াপ্রেমী তাদের এটি অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। প্রথমে একটু ভয় কাজ করছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। ঘোড়ার পিঠে ওঠা আমার জন্য অনেক সহজ। এখন ঘোড়া নিয়ে দৌড়ানো শিখছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে তা আয়ত্ত হবে। নতুন বছরের শুরুতে শেখা শুরু করেছি। শরীরে যতদিন শক্তি থাকবে, ততদিনই শিখব। কারণ এটি আমার প্যাশন। যে কেউ কনফিডেন্ট হলেই ঘোড়া চালনা শিখতে পারবে। তবে এ কাজে অবশ্যই লেগে থাকতে হবে।’
বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু সায়রার, এরপর বড় পর্দায় অভিষেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নেন।
গত ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘লেগুনা’। আবুল খায়ের চাঁদের পরিচালনায় এ গল্পে তাঁকে দেখা গেছে মফস্বলের এক মেয়ের চরিত্রে। এরপর আরও কিছু কাজ করেছেন। এবারও ভালোবাসা দিবসে ভিন্ন আয়োজনে তাঁকে পাওয়ার যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়রা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।
নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।