নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল হিন্দু হিন্দু সম্প্রদায়কে বিদ্যা দেবী সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে সজল বলেন, আমাদের দল বিএনপি পরিবার সবসময়ই হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আছে। আমরা কিন্তু যেকোনো পূজা অর্চনা থেকে শুরু করে সকল অনুষ্ঠানে আপনাদের পাশে থাকি।

বিএনপি যখনই ক্ষমতায় থাকে বিএনপি দ্বারা কোন হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতিত হয় নাই। কিন্তু একটি সরকার ছিল যারা সব সময় বলতো যে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ের সচেষ্ট থাকি সেই দলের নেতাকর্মীদের দ্বারাই বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতিত হয়েছে। 

বিদ্যা দেবী সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শহরের নগর খানপুর শ্রী শ্রী সিদ্ধিগোপাল আখড়া কমিটির উদ্যোগে শিশু কিশোরদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাড়ে বারোটায় নগর খানপুর শ্রী শ্রী সিদ্ধিগোপাল আখড়া মন্দির প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুলের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে আপনারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, রামু বৌদ্ধ মন্দির ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় আপনারা দেখেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

কারণ তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ি-ঘর দখল করতে চায়। আর বিএনপি সবসময়ই হিন্দু সম্পদের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আর আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে আছি। 

আপনাদের যেন কখনো কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য আমরা সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আপনাদের পাশে থাকবো। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান আমরা সবাই ভাই ভাই। এদেশের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই সমান।

এদেশ শুধু মুসলমানের না হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলের। সুতরাং আপনারা ছোট মন নিয়ে থাকবেন না। এদেশে আমাদের জন্ম আর এই দেশে থাকার অধিকার আমাদের রয়েছে। বিএনপি পরিবার সবসময় আপনাদের পাশে আছে। 

নগর খানপুর শ্রী শ্রী সিদ্ধিগোপাল আখড়া মন্দির কমিটির সভাপতি জয়ন্ত দে'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বিশেষ অতিথি মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন। 

এছাড়াও রাখাল চন্দ্র দে, সুমন সাহা, পল্টন সাহা, বলাই মন্ডলসহ সিদ্ধিগোপাল আখড়া সরস্বতী পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ পর ব র ন র য়ণগঞ জ স দ ধ গ প ল আখড় আপন দ র প শ কম ট র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি নেতারা জামায়াতে ইসলামীকে ছাড় দিচ্ছেন না। গত চার মাসে দল দুটির নেতাকর্মীর মধ্যে অন্তত তিন জায়গায় মারামারি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার জেরে বিএনপির সঙ্গে তাদের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। স্থানীয় নেতারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পাল্টাপাল্টি ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন। স্থানীয় লোকজন মনে করেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতকে চাপে রাখতেই বিএনপি এমন কৌশল নিচ্ছে।
আড়াইহাজার উপজেলার দুটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-২ আসন। এখানে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা। শনিবার নেতাকর্মী নিয়ে তিনি মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদী এলাকায় যান। সেখানে বাধা দেন স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা। এ বিষয়ে তাঁর পক্ষে আড়াইহাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা জামায়াতের (উত্তর) আমির মনিরুল ইসলাম।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, শনিবার বিকেলে গহরদী বাদশা বাড়ি এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা। এ সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান শিকারির নেতৃত্বে ২০-২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে পথসভায় বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কি হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। হামলায় আহত হন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, দলের কর্মী আসাদুল্যাহ, কাউসার মিয়া, আলাউদ্দিন মিয়া, ওসমান গণি, নুরু মিয়া ও আলাউদ্দিন মিয়া। মাহবুবুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
গত ১৭ মার্চ একই ইউনিয়নের কল্যান্দী মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের সামনে জামায়াত আয়োজিত ইফতার মাহফিল বিএনপি কর্মীদের হামলায় পণ্ড হয়ে যায়। তখন জামায়াত নেতা মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করেছিলেন, ইফতারের ৪০ মিনিট আগে মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের নেতৃত্বে তাঁর ১০-১৫ জন অনুসারী ইফতার মাহফিলে বাধা দেন। তারা 
প্যান্ডেল খুলে নিতে বললে আতঙ্কিত হয়ে জামায়াত কর্মীরা সরে যান। 
এ দুই ঘটনার বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম শিকারি বলেন, ‘আড়াইহাজারে জামায়াতের এমন কোনো সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে উঠেনি, তাদের নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ইফতার মাহফিল বা গণসংযোগে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নিজেরা আলোচনায় আসার জন্য তারা বিএনপিকে দোষারোপ করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াতের কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। এরাই অতীতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা ও নির্যাতন করেছিল। চিহ্নিত এসব আওয়ামী দোসরদের জামায়াতের কর্মসূচিতে দেখে স্থানীয় লোকজনের তোপে পড়ে দলটি। এর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মন্তব্য করেন।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ৭ ফেব্রুয়ারি দলীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান নারায়ণগঞ্জ আসেন। এ বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের টেকপাড়ায় একটি প্রস্তুতি সভা হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মোল্লার নেতৃত্বে তাদের অপদস্থ করা হয়। হামলায় অন্তত সাতজন কর্মী আহত হন। এক পর্যায়ে বিএনপির ওই নেতা এলাকায় সব কর্মসূচি পালনে জামায়াত কর্মীদের নিষেধ করেন।
সর্বশেষ হামলার পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে শনিবার রাতে এক বিবৃতি দেওয়া হয়। দলের নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর 
রহমানের বিবৃতিতে দলের গণসংযোগে হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে।
এসব বিষয়ে জামায়াত নেতা অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা বলেন, বিনা উস্কানিতে তাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএনপির শীর্ষ 
নেতারা কী অবস্থান নিচ্ছেন, তা দেখছেন তারা। ঘটনাগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদের ভাষ্য, ‘দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে জামায়াত নেতাকর্মীর ওপর বিএনপির নেতাকর্মীর হামলার অভিযোগ পুরোপুরি ঠিক নয়। আমি যতদূর জেনেছি, তাদের দলের নেতাকর্মীর সঙ্গে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা অংশ নিচ্ছে। ফলে জামায়াতকে নিয়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে জামায়াতের স্থানীয় নেতারা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ছেন।’ তিনি বলেন, এরপরও যদি দলের কোনো নেতাকর্মী জামায়াতের কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর কিছু ঘটান, তাহলে খোঁজখবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেবেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় জুস ফ্যাক্টরিতে যৌথবাহিনীর অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা
  • জাতীয় যুবশক্তি'র নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
  • চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট 
  • চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট 
  • চাষাঢ়ায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
  • আড়াইহাজারে বাস-কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২২
  • শিক্ষকের সম্মান নিয়ে নাটক, প্রশংসিত ছাত্র-শিক্ষক উভয়ই
  • বন্দরে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে