আগুনে পুড়ল বৌদ্ধবিহার ও শিশুশিক্ষাকেন্দ্র
Published: 5th, February 2025 GMT
বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মংশৈপ্রু পাড়ায় একটি বৌদ্ধবিহার ও শিশুশিক্ষাকেন্দ্র আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ওই বিহার ও শিশুশিক্ষাকেন্দ্র কাঠ ও বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত হওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলেও বিহারে থাকা ১৮টি বুদ্ধমূর্তি এবং ৮টি পিতলের ঘণ্টাসহ কিছু ধর্মীয় সরঞ্জাম উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মংশৈপ্রু পাড়া রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটিতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার মতো কোনো সড়ক নেই। আগুন লাগার পর পাড়ার বাসিন্দারা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। বিহারটি পাড়া থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় পাড়ার ঘরবাড়ির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
মংশৈখ্যয় মারমা নামের পাড়ার এক বাসিন্দা প্রথম আলোকে জানান, একে তো কাঠ-বাঁশে নির্মিত কাঠামো, তার ওপর বাতাস ছিল অনেক বেশি। যার কারণে পাড়াবাসী চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। তবে ১৮টি বুদ্ধমূর্তি এবং বেশ কিছু ধর্মীয় সরঞ্জাম উদ্ধার করতে পেরেছে। তিনি আরও জানান, বিহারের পাশে অবস্থিত শিশুশিক্ষাকেন্দ্রটি ইউনিসেফের অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালনা করে। পাড়ার ৩০টি পরিবারের শিশুরা এই শিশুশিক্ষাকেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিকের পড়াশোনা করে আসছে। বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য চাইখেউ মারমা বলেন, আগুনে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিহারাধ্যক্ষ ইন্দ্রাবংশ ভিক্ষু প্রথম আলোকে জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার সময় বিহারের শ্রমণ ও অন্যরা রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও কোনো কাজ হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।