আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রূপগঞ্জে ছাত্রদলের মশাল মিছিল
Published: 5th, February 2025 GMT
আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার ও আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে উপজেলার গাউসিয়া এলাকার ঢাকা টু সিলেট মহা সড়কে এ মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিতি ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লা রহমান,সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হৃদয় মিয়া, আহ্বায়ক সদস্য তারিকুল ইসলাম শান্ত,সদস্য আরিফুল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা রাসেল ফকির, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা, ফারুক আশরাফুল, ফেরদৌস, সানি, কাউছার, নাইম, নাফিজ, সাইফুল, দিপু, সুজন, ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আনাস, মিরাজ, ছাব্বির, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা ফয়সাল, নাছিম, রুবেল , ভূলতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সোহান, দিপু,আল-আমিন, বাইজিদ,সোহান,আবু রজিন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা, ইমরান, সাইফুল, অমিত, চনপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হোসাইন ফরাজী,অমিত, রিফাত, হাসান প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ছ ত রদল র র পগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব