খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ দেখল হাজারো মানুষ
Published: 5th, February 2025 GMT
গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতে প্রতি বছরের মতো এবারও খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা নদীর দুই তীরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন হাজারো মানুষ। এ সময় সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপনের অংশ হিসেবে খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচের আয়োজন করে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন। রূপসা নদীর ১ নম্বর কাস্টমস ঘাট থেকে খানজাহান আলী সেতু পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
আরো পড়ুন:
টিসিজেএ ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা
প্রতিযোগিতা করছে কয়েকটি নৌকা
কয়রার ‘সুন্দরবন টাইগার্স’ নামে নৌকা বাইচ দল প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘জয় মা কালী’ ও ‘মোবাইল’ নামের নৌকা বাইচ দল। প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে ৭৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনাবাসীকে নির্মল বিনোদন উপভোগের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এটি হচ্ছে তারুণ্যের উৎসবের অংশ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সবার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন করছি। আমরা চাচ্ছি, তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে বাংলাদেশটাকে সাজাতে, যেখানে সহযোগিতার নীতি প্রচার করা হবে। একে অপরের কাজে আমরা সহযোগিতা করব এবং তারুণ্যের শক্তিকে প্রকাশ ঘটিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব।”
নৌকা বাইচ উপলক্ষে খুলনা নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আক্তার জাহান, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।