এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত রাশেদুল ইসলাম (২২) ও হৃদয় (২২) নামের দুই কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছেন। বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে ও দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার তারাবো পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পুরান বাজার এলাকায় ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। নিহত রাশেদুল ইসলাম তারাব দক্ষিণপাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে ও জুনায়েদ আহমেদ হৃদয় একই এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে। 


প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারাবো বাজার এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা সহ নানা অপরাধের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিমুল গ্রুপের সঙ্গে  শ্রাবণ গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায় দুই প্রুপ। এ সময় শ্রাবণ গ্রুপের রাশেদুল ইসলাম (২২) ও হৃদয় (২২) নামের দুই কিশোরীকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাদেরকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোরে রাশেদুল ও দুপুরে হৃদয়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। 


চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই কিশোরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে রুপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ক ন দ র কর অবস থ য় স ঘর ষ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ