তাসকিনকে কি ছুঁতে পারবেন খালেদ
Published: 6th, February 2025 GMT
বিপিএলে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা করেই বিদায় নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সাকিব আল হাসানের রেকর্ড ভাঙা তাসকিনের দল দুর্বার রাজশাহীর বিদায়ঘণ্টা বেজেছে প্রথম পর্বেই। আগামীকালের ফাইনালে শেষেও তাসকিনের সবার ওপরে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ে যে ৫ উইকেটে এগিয়ে বাংলাদেশের পেস তারকা।
২০ উইকেট নিয়ে তাসকিনের পরেই আছেন তিন পেসার ফাহিম আশরাফ, আকিফ জাভেদ ও খালেদ আহমেদ। পাকিস্তান পেসার আকিফের রংপুর রাইডার্স বিদায় নিয়েছে এলিমিনেটর থেকে। আরেক পাকিস্তানি ফাহিমের ফরচুন বরিশাল ফাইনালে উঠেছে। তবে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পাওয়া ফাহিম দেশে ফিরে গেছেন।
তাসকিন ছোঁয়া বা পেছনে ফেলার সুযোগ আছে শুধু চিটাগং কিংসের খালেদের। কাজটা অবশ্য কঠিন। তাসকিনকে ছুঁতেই যে ৫ উইকেট দরকার বাংলাদেশের এই পেসারের।
আরও পড়ুনরুশোর রেকর্ড ভাঙা হলো না, নাঈম কি পারবেন শীর্ষে থেকে শেষ করতে২ ঘণ্টা আগেসাত দলের শীর্ষ বোলারফরচুন বরিশাল
২০, ফাহিম আশরাফ
১০, তানভীর ইসলাম
৮, জাহানদাদ খান
৮, মোহাম্মদ নবী
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।