সাংবাদিক খায়রুল কবিরের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
Published: 7th, February 2025 GMT
দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম আজীবন সদস্য খায়রুল কবিরের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার, ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ছাড়া পাকিস্তান শিল্প ব্যাংকের পরিচালক এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির অন্যতম প্রণেতা খায়রুল কবির পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলের (বর্তমানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র প্রসেসিং ও মুদ্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেন।
ঘোড়াশালের সম্ভ্রান্ত কবির পরিবারে জন্ম নেওয়া খায়রুল কবিরকে মৃত্যুর পর সেখানকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫