চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট দারোগাহাট বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কমিউনিটি সেন্টারটির মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত দুইটার দিকে ‘কুটুমবাড়ি কনভেনশন সেন্টার’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কমিউনিটি সেন্টারটির ভেতরে থাকা বেশ কিছু চেয়ার পুড়ে গেছে।

কমিউনিটি সেন্টারটির মালিক রেহান উদ্দিন গত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় থাকেন না। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী তাঁর কমিউনিটি সেন্টারটি দখলের চেষ্টা করেন। এ কারণে বেশ কিছুদিন কমিউনিটি সেন্টারটি বন্ধ রাখা হয়। গত জানুয়ারি মাসে সেটি খুলে দেওয়ার পর চার থেকে পাঁচটি অনুষ্ঠান হয়েছে।

রেহান উদ্দিন আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁর কমিউনিটি সেন্টারে নাশকতা চালানো হয়েছে। তিনি জেনেছেন, রাতে দেয়াল টপকে কিছু লোক ভেতরে ঢুকে কমিউনিটি সেন্টারটিতে আগুন লাগিয়েছেন। বাজারের নৈশপ্রহরী আগুন দেখে ব্যবস্থাপককে ফোনে জানান। এরপর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুনে বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল এবং ভবনের সিলিং পুড়ে গেছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মচিন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত হতে পারেনি। এটি তদন্তের পর বলা যাবে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মজিবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেই ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলে আমরা যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে সাত থেকে আটটা চেয়ার পুড়েছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাচ্চাটি যাবে না, ম্যাডাম’: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের সন্তানের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ
  • প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক