বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। বছরজুড়েই বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। কিছুদিন আগে ভারতের শত্রুদেশ পাকিস্তানে গিয়ে সেখানকার এক নাগরিককে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাখি। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এবার পাকিস্তানের এক মুফতি রাখিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউন ডটকম জানিয়েছে, রাখি সাওয়ান্তকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন মুফতি আব্দুল কাভি। উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত তিনি। কান্দিল বালুচের মামলায়ও নাম জড়িয়েছিল তার।
মুনিজায় মঈনের একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন পাকিস্তানি মুফতি কাভি। এক পর্যায়ে রাখি সাওয়ান্তের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এরপর মুফতি কাভি বলেন, “আমি বিয়ের জন্য এখনই প্রস্তুত। কিন্তু একটি শর্ত আছে। তাহলো— তাকে বিয়ের জন্য প্রথমে আমি আমার মায়ের অনুমতি নেব। যদি তিনি অনুমতি দেন তবেই বিয়ে করব। কারণ এটি তার (মা) আদেশ।”
আরো পড়ুন:
চতুর্থ বিয়ের স্বপ্ন দেখেন ছেষট্টির লাকি আলী
নায়ক শাহরুখ, তবু অভিনয়ের প্রস্তাব ফেরান কাজল
মুফতি কাভির বিয়ের প্রস্তাব রাখি সাওয়ান্ত পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথাও প্রকাশ করেছেন। এক ভিডিও বার্তায় রাখি বলেন, “আমি একজন মাওলানাকে বিয়ে করতে আগ্রহী। কারণ আমার বোন সানা খানও একজন মুফতিকে বিয়ে করেছেন।”
২০১৯ সালে ব্যবসায়ী রীতেশের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা জানান রাখি। যদিও অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বিয়ের বিষয়টি বানিয়ে বলেছেন এই অভিনেত্রী। ভক্তদের অনুরোধে ২০২১ সালে ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শোয়ে সর্বপ্রথম স্বামীকে প্রকাশ্যে আনেন। পরবর্তীতে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন রাখি সাওয়ান্ত।
২০২৩ সালে আদিল ডুরানিকে বিয়ে করেন বলিউডের ড্রামা কুইন রাখি সাওয়ান্ত। প্রিয় মানুষকে বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজের নাম বদলে রাখেন— ফাতিমা। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যে ভেঙে যায় তাদের সংসার। এ নিয়ে কাদাছোড়াছুড়ি কম হয়নি। রাখির দায়েরকৃত মামলায় জেলও খাটতে হয়েছে আদিলকে। আপাতত রাখি সিঙ্গেল।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।
এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।
প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”
আরো পড়ুন:
জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!
অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?
ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”
‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”
গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”
ঢাকা/শান্ত