মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি কমেছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

প্রথম আলোকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। এর আগে গতকাল শুক্রবার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল রাত থেকেই শ্রীমঙ্গলে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশা কম থাকলেও ঠান্ডা বাতাসে এমন হচ্ছে। আজ সকালে উপজেলাটির বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা কম ছিল। সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। তবে কনকনে বাতাস বইছিল। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে চা–বাগান অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় শ্রমিকেরা গরম কাপড় পরে কাজে যোগ দিয়েছেন।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। উপজেলাটিতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আগামী দুই দিন এমন শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে, তবে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়বে।

শ্রীমঙ্গল শহর ও শহরের বাইরের এলাকাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও গ্রামাঞ্চল ও চা-বাগানে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এতে বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। চা-বাগানগুলোয় শীত বেশি পড়ায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে চা–শ্রমিকদের।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও খিলগাঁওয়ে দুজনকে গুলি করে হত্যা এবং দুজনকে আহত করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

অন্য যে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল ও পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

আসামিদের মধ্যে এএসআই চঞ্চল চন্দ্র গ্রেপ্তার আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, তিনি দোষ স্বীকার করেন কি না। জবাবে চঞ্চল চন্দ্র নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আগামী ১৬ অক্টোবর এ মামলার সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে ট্রাইব্যুনাল–১–এ গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ