নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আমরা বিগত ১৬ টি বছর রাজপথ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। গত ৫ই আগস্ট খুনি হাসিনা পতনের পর আমরা মনে করেছি দেশের শান্তিতে বসবাস করবো, আর রাজপথে থাকতে হবে না।

কিন্তু খুনি ফ্যাসিস শেখ হাসিনার নতুন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদেরকে আবারও রাজপথে নামতে হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। 

বাংলাদেশের বিশ কোটি মানুষকে জিম্মি করে আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতা দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করতে চাই আপনার হাত কত রক্ত রঞ্জিত করতে চান। গত ১৬টি বছর আপনার হাতে হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সর্বশেষ পাশে আগস্ট এর আগে সাঈদ-মুগ্ধ - স্বজনসহ কয়েক হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে কিন্তু আপনি ক্ষান্ত হননি। 

আমরা মনে করছিলাম ১৬ বছর আপনি যা অপকর্ম ও করেছেন তার জন্য আপনি অনুতপ্ত হবেন কিন্তু তা না করে আপনি নতুন করে আবার দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ শ্রমিকলীগ সহ অঙ্গ সংগঠন দিয়ে আপনি এক মাসের কর্মসূচি দিয়েছেন।

আপনাকে একটি কথা বলতে চাই আমরা যারা শহীদ জিয়ার আদর্শের কর্মীরা রয়েছি আমরা কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি। 

বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে আওয়ামীলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন।

শনিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারোটায় বন্দর ২৩নং ওয়ার্ডের একরামপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বন্দর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌরসভা হয়ে কবিলের মোড় দিয়ে ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ রেললাইন হয়ে নবীগঞ্জ বাজার দিয়ে কাইতাখালী হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দেউলী চৌরাপাড়া এসিআই গেইটের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

তিনি বলেন, আমরা যতদিন না পর্যন্ত এদেশের ২০ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারবো ততদিন পর্যন্ত এদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে আমরা রাজপথে আছি রাজপথ ছাড়বে  ঘরে ফিরে যাবো না। আমরা দেখেছি বিগত সময় আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলী, স্বেচ্ছাসেবক শ্রমিকলী কিভাবে এদেশের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন ও হত্যা গুম করেছিল। 

আমরা আর আমাদের কোন ভাই-বোনকে হত্যা গুম খুন ও নির্যাতনের শিকার হতে দেবো না। আমরা কোন মায়ের সন্তানকে আর বুক থেকে খালি হতে দেব না কোন বোনকে আর বিধবা হতে দেব না। আমরা চাই এদেশের ২০ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং মানুষের বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকার জন্য। 

টিপু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা কেউ রাগে অভিমানে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে কারো বাড়িঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাবেন না। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা তারা স্বৈরাশাসক ছিল। তাই এ দেশের জনগণ তাদের ছবি ও স্থাপনা  ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দিয়েছে। সেগুলা সাথে বিএনপি'র কোন সম্পর্ক নাই।

বাংলাদেশের কোথাও শেখ হাসিনা শেখ মুজিবর এর কোন ছবি ও স্থাপনা এদেশের মানুষ দেখতে চায় না কারণ এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের উপর ক্ষোভ কারণ তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের উপর যে জুলুম নির্যাতন করেছে তা মানুষ ভুলে যায়নি। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক শ্রমিকলীগকে নতুন কোন করে কোন অরাজগতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে দিবো না। 

প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আপনারা নিজ নিজ এলাকায় পাহারা দিবেন। আর আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ ও  স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের তালিকা করে প্রশাসনের কাছে কিংবা আমাদের কাছে দিবেন। আপনারা তাদেরকে ধরে পুলিশের হাতে দিবেন, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।

বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ্ আহম্মদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। 

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ আলী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুন, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাজী নজরুল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, হাবিবুর রহমান মাসুদ, সম্রাট হাসান সুজনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ গণতন ত র র ন ত কর ম আম দ র য বল গ আপন র আওয় ম র জপথ

এছাড়াও পড়ুন:

কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু

কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা? 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকট’
  • মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সিপিবি
  • সাবেক বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ 
  • কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
  • জনগণ গণতন্ত্রের জন‍্য রক্ত দিয়েছে, কোনো মহামানবের প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: আমীর খসরু