এখন গণতন্ত্র ও ভোটের শত্রু চতুর দিকে: আহমেদ আযম
Published: 8th, February 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘‘আমরা ১৭ বছর এক ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি সরকারের ভেতরে-বাইরে শত্রু। আগে ছিল এক শত্রু, এখন গণতন্ত্র ও ভোটের শত্রু চতুর দিকে।’’
তিনি বলেন, ‘‘কোনো শত্রুকে ভয় পাই না। আমাদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ আছে, জাতি আছে। ড.
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র অবকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বিএনপির মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ঝালকাঠিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু
সরকার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে: ফাওজুল কবির
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভাইঘাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশে আহমেদ আযম খান আরো বলেন, ‘‘আমরাও বলেছি অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার করে এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন দিতে।’’
তিনি বলেন, ‘‘কোনো ষড়যন্ত্রকারী, যারা ভোট বিরোধী; তারা গণতন্ত্র বিরোধী। যারা ভোট বিরোধী, তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।’’
আহমেদ আযম বলেন, ‘‘ড. ইউনুসের সরকার কিছু সংস্কার কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা সেই কর্মসূচিকে স্বাগত জানাই। এই কর্মসূচি আমাদের ৩১ দফা কর্মসূচিতে আছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বর্তমান সরকারের এই কর্মসূচিসহ ৩১ দফা বাস্তবায়ন এবং আরো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আমরা একটা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে।’’
ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান সুরুজ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ। এ সময় ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলার বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কাওছার/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণতন ত র ব এনপ র রহম ন র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান
সংবাদপত্রের কালো দিবস ছিল আজ। সোমবার এ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার মধ্যরাতে পাঠানো এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিবস। এদিন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব দল বাতিল করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। তাদের অনুগত চারটি সংবাদপত্র রেখে জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিল। বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মী বেকার হয়ে পড়েন। তাদের রুজি-রোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরের যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয় এবং এর মূল শর্ত হলো বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকায় রাষ্ট্র ও সমাজ জবাবদিহির আওতায় আসে এবং দেশের সরকার গঠনে নাগরিকের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে স্তব্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। পরে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। বাকশাল সরকারের সব ধরনের অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন।’
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ মূলত চিন্তা ও বিবেককে বন্দি রাখা। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার মেয়ে শেখ হাসিনাও একই পথ ধরে তাদের প্রকৃত দর্শন একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল নতুন আঙ্গিকে। নানা কালাকানুন প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালিয়েছে তারা।’
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা বাণীতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে আসত নির্যাতনের খড়্গ। বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীসহ সব পর্যায়ের মানুষকে সার্বক্ষণিক শঙ্কিত থাকতে হয়েছে।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো একের পর এক ড্রাকোনিয়ান (কঠোর) আইন প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়াল দুর্গে বন্দি করা হয়েছিল। বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা ভোগ করলেও এখনও ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়।’