দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতার জন্য অনেকাংশে দায়ী খাল-নালায় ফেলা ময়লা-আবর্জনা। যারা যত্রতত্র ময়লা নিক্ষেপ করে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দিয়ে তাদের দুই-এক দিনের জন্য জেলে পাঠানো উচিত। জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য প্রতি সপ্তাহে একজন উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সফরে আসবেন বলেও জানান তিনি।

শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চসিকের সিইও শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে উপদেষ্টা ফারুক নগরীর আগ্রাবাদ ব্যাপারীপাড়া এলাকায় খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে যান।

উপদেষ্টা ফারুক বলেন, ‘নগরের মানুষ থেকে সিটি করপোরেশনকে বর্জ্য অপসারণের জন্য টাকা নেয়। যারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলেন, তাদের পুরস্কৃত করে আমরা সমাজে পজেটিভ মেসেজ দিতে পারি। যারা যত্রতত্র ময়লা ফেলে, তাদের তিরষ্কার এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। এ প্রক্রিয়ায় সামগ্রিকভাবে জনমানুষের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি করতে চাই, ময়লা যত্রতত্র ফেলা যাবে না, এটার জন্য মোবাইল কোর্ট করে ফাইন হয়।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ফ র ক ই আজম ময়ল উপদ ষ ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। 

কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‍“বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।”

বৈঠকে লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ